নিজস্ব ছবি
Bangla Jago Desk : হাইটেক যুগেও জামাইষষ্ঠীর বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্যণীয়। জামাই বাবাজিদের আদর-আপ্রায়নে কোনও খামতি রাখতে চান না শাশুড়িরা। জামাই কর্পোরেট কর্তা হোন বা ছাপোষা মধ্যবিত্ত,চিরন্তন প্রথায় সেই জামাইয়ের কল্যাণ কামনার রীতি এখনও স্বমহিমায় উজ্বল। বৈদিক যুগ থেকেই এই জামাইষষ্ঠী পালন করা হচ্ছে।ঘরে -ঘরে জামাইদের আপ্রায়নের ঘটা দেখা যায়।কিন্তু কেন বাঙালি পরিবারেরা এই রীতি মানেন জানেন কী ? কথিত আছে, এক সময় এক লোভী মহিলা বাড়ির রান্না করা মাছ চুরি করে খেয়ে একটি বিড়ালের উপর দোষ দেন।তখন সেই মহিলার মনে হয় ষষ্ঠীর বাহনের ওপর অযথা দোষারোপ করার কারণে তাঁকে একের পর এক সন্তানকে হারাতে হয়। এরপর তিনি জঙ্গলে গিয়ে ষষ্ঠী দেবীর আরাধনা শুরু করেন।
[ আরও পড়ুন – DA: এপ্রিল থেকেই ৪ শতাংশ ডিএ দেবে রাজ্য, সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর]
দীর্ঘ তপস্যার পর ষষ্ঠী দেবী তুষ্ট হয়ে ওই মহিলার সন্তানদের ফিরিয়ে দেন। সন্তানদের ফিরে পেলেও সেই মহিলার চুরির অপরাধে বাপের বাড়িতে ফিরে আসার পথ বন্ধ হয়ে যায়।দিনের পর দিন বাপের বাড়ি যেতে না পারায় তিনি ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। অবশেষে মেয়েকে দেখার জন্য তাঁর বাপের বাড়ির সকলে ষষ্ঠী পুজোর দিন জামাইকে নিমন্ত্রণ করেন। সেই থেকেই নাকি জামাই ষষ্ঠী প্রথা চালু হয়।যাই হোক,এখন ও এই জামাই ষষ্ঠীর জন্য বাঙালি পরিবারে ফল-মিষ্টি সহ নানা উপাদেয় খাবার সহযোগে জামাইদের আপ্রায়ন করার চল রয়ে গেছে।বুধবার জামাইষষ্ঠী। তাই মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে দেখা যায় দেদার মিষ্টি কেনার হিড়িক।মিষ্টিতে নানা এক্সপেরিমেন্টও চলছে।মিষ্টির ফিউশন বা হরেক স্বাদের মিষ্টি কেনার ছবি আমাদের ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে।
[ আরও পড়ুন – মহকুমার পর ধূপগুড়ি পেল নতুন পুলিশ ফাঁড়ি]
রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী।সেজন্য মিষ্টি বিক্রেতারা বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। লোভনীয় নানান সুস্বাদু মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছেন,তাঁরা।রসগোল্লা,সন্দেশ,চমচম,ল্যাংচার মতো ক্লাসিক মিষ্টির স্বাদে এবার মিশছে ফিউশনও। গুলাব জামুন, চিজক্রিম পুডিং, এগলেস মাগ কেক থেকে নানান স্বাদের মিষ্টি জামাইদের মন কাড়বে বলে শ্বশুড়-শাশুড়িরা মনে করছেন।
[ আরও পড়ুন – গ্রেফতার আরও এক গুলিবিদ্ধ দুষ্কৃতী রানিগঞ্জকাণ্ডে গ্রেফতার অভিযুক্ত সনু সিং ]
এখন জামাইয়ের মঙ্গল কামনার এই অনুষ্ঠান মেয়ের বাড়ির সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির যে সনাতন সম্পর্কের মেলবন্ধন ঘটায় তার তাত্পর্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।ফিবছর এই জামাই ষষ্ঠীর জাঁকজমক দেখা যায়।এবারও সেই মহা উত্সাহে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন প্রায় সম্পন্ন বলা যায়।