ছবিঃ নিজস্ব
Bangla Jago Desk: ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতির জন্য বাজারে জোগান কমে যায় আলুর। ফলে দাম চলে যায় নাগালের বাইরে। এখন ধর্মঘট উঠে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকারি ভাবে আলু কিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিক্রি শুরু করে দিল প্রশাসন। বাঁকুড়ার কোতুলপুরে ২৭ টাকা কিলো দরে খোলা বাজারে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। কম দামে আলু কিনতে পেরে খুশি সাধারণ মানুষ।
হিমঘর থেকে সরাসরি সরকারি ভাবে আলু কিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে খোলা বাজারে তা বিক্রি শুরু করল প্রশাসন। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের একটি হিমঘর থেকে আলু কিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠী ২৭ টাকা কিলো দরে খোলা বাজারে সেই আলু বিক্রি শুরু করেছে। ন্যায্য মূল্যে ব্লকে ব্লকে এই আলু বিক্রির পাশাপাশি খোলা বাজারে কোথাও বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির লাগাতার কর্মবিরতির জেরে রাজ্য জুড়ে বাজারগুলিতে আলুর জোগান কমে যায়। আলুর দাম একলাফে বেড়ে হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কিলো। বুধবার হুগলির হরিপালে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তার পরেই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার কথা জানান ব্যবসায়ীরা। রাত থেকেই আলুর জোগান আবার স্বাভাবিক করার চেষ্টা হয়। ধর্মঘট উঠে গেলেও সাধারণ মানুষকে কম দামে আলু দেওয়ার জন্য উদ্যোগী প্রশাসন।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে একটি হিমঘর থেকে সরকারি দামে ৩০ কুইন্টাল আলু কেনা হয়। সেই আলু তুলে দেওয়া হয় স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির হাতে। সরকারি নির্দেশ মতো স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি সেই আলু নিয়ে কোতুলপুরের নেতাজি মোড়ে স্টল খুলে বিক্রি শুরু করে। প্রশাসনিক ভাবে জানানো হয়েছে, এই স্টলগুলি থেকে প্রাথমিক ভাবে মাথাপিছু ২ কিলো করে আলু দেওয়া হচ্ছে। দাম নেওয়া হচ্ছে ২৭ টাকা প্রতি কিলো। শুধু কোতুলপুরে নয়, বাঁকুড়া জেলার প্রতিটি ব্লকেই সরকারি উদ্যোগে কম দামে সাধারণ মানুষকে আলু বিক্রি করা হবে। কম দামে আলু পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।