ad
ad

Breaking News

Share Market

Share Market: কীভাবে শেয়ার বাজার থেকে উধাও হল লক্ষ কোটি টাকা! এগজিট পোল ‘দুর্নীতি’ নিয়ে তদন্তের দাবি বিরোধীদের

সোমবার বাজার খুলতেই সূচক অধিক গতিতে উপরে উঠতে থাকে

How millions of rupees disappeared from the stock market!

ছবি : সংগৃহীত

Bangla Jago Desk : ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ২০১৯-এর প্রাপ্তি ৩০৩-এরও অনেক আগে থামতে হয়েছে পদ্মশিবিরকে। তবে দুদিন আগেই, ১ জুন, শনিবার শেষ দফার নির্বাচনের পর সন্ধ‌্যায় বিভিন্ন সংস্থার এগজিট পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়, বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরছে মোদি সরকার। পরেরদিন, রবিবার শেয়ার বাজার বন্ধ ছিল। সোমবার বাজার খুলতেই সূচক অধিক গতিতে উপরে উঠতে থাকে। মঙ্গলবার ভোটগণনা শুরু হতে এগজিট পোলকে ‘ভুল’ প্রমাণিত করে মোদির পতনের সঙ্গেই ধাক্কা খায় বাজার। ফলে সোমবার একদিকে যেমন কিছু সংস্থা প্রচুর টাকা মুনাফা করে বেরিয়ে গিয়েছে, সেখানে পরের দিনই বহু ছোট ও মাঝারি বিনিয়োগকারীর টাকা ডুবে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা ওই এগজিট পোলকে ‘স্ক‌্যাম’ আখ‌্যা দিয়ে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছে।

[ আরও পড়ুন –  Basirhat : সংযুক্তিকরণে মিলতে পারে বাণিজ্যিক সাফল্য, আশায় বসিরহাটের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা]

তাদের দাবি, এগজিট পোলের ভবিষ্যদ্বাণী ও প্রকৃত ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য, রাজনৈতিক ও আর্থিক উভয় ক্ষেত্রেই মারাত্মক পরিণতি এনে দিয়েছে। বিরোধীরা ভারতের নির্বাচন কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়াকে বা সেবি অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদল গুলি ভালো ফল করেছে। এই ফল এগজিট পোল নিয়ে সন্দেহ জাগিয়েছে, যেখানে বিজেপি নেতৃত্বে এনডিকে তুমুলভাবে জয়ী করেছে। ফলে, প্রকৃত ফল ঘোষণার পর বিরোধীরা ওই এগজিট পোলে হেরফের ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে। প্রসঙ্গত, ভারতে রাজনীতি ও শেয়ার বাজারের মধ্যে জটিল ও বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। রাজনৈতিক ঘটনা ও সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব ও বাজারের গতিবিধিকে প্রভাবিত করতে পারে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ নির্বাচন, রাজ্য নির্বাচন, ও উপনির্বাচন বাজারের অস্থিরতার কারণ হতে পারে। বিনিয়োগকারীরা সাধারণত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও স্পষ্ট নীতির পক্ষে।

[ আরও পড়ুন – Tech Layoffs: পাঁচ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করতে পারে Paytm]

একটি সংস্কারপন্থী সরকারের জন্য একটি শক্তিশালী জনাদেশ সাধারণত বাজারের মনোভাবকে বাড়িয়ে তোলে। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে এমন ঘটনা ঘটেছিল, যখন অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রত্যাশায় সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। আবার ২০১৬ সালে নোটবন্দি এবং ২০২০ সালে কোভিড-১৯ পর্বে বাজার নির্মম পতনের সাক্ষী হয়েছিল। ভোটপ্রচার যখন তুঙ্গে, সেই সময় শেয়ার কেনার জন্য লগ্নিকারীদের বারবার আহ্বান করতে দেখা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখেও শোনা গিয়েছে একই কথা। এত কিছু সত্ত্বেও শেয়ার বাজারের এই পতন দেখে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভোটের ফল নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল বলেই বাজারের পরিস্থিতি অস্থির হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি-র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ।