সংগৃহীত
Bangla Jago Desk , Mou Basu: গোটা বিশ্বে কমছে জন্মহার। এই পরিস্থিতিতে চিনা বিজ্ঞানীরা ভয়াবহ আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন নিজেদের গবেষণায়। চিনা বিজ্ঞানীরা নিজেদের গবেষণায় দেখিয়েছেন পুরুষের বীর্যেও এবার দেখা মিলেছে প্লাস্টিকের বিষ কণার। তাতেই প্রশ্ন উঠেছে প্লাস্টিকের দূষণের ফলে কমছে জন্মহার।পূর্ব চিনের জিয়ানে বসবাসকারী ৩৬ জন সম্পূর্ণ সুস্থ সবল পুরুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়। তাঁরা কেউই কিন্তু প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেন না। তাঁদের বীর্য সংগ্রহ করা হয় গবেষণার কাজে।
গবেষকদের উদ্দেশ্য ছিল কাজের সূত্রে সরাসরি প্লাস্টিকের সংস্পর্ষে না এলেও কীভাবে ও কেমন রকমের মাইক্রো প্লাস্টিক পলিমারের প্রভাব পড়ছে পুরুষের বীর্যেও। মাইক্রো প্লাস্টিক পলিমার চিহ্নিত করতে Raman microspectroscopy যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা চালানো হয় বীর্যের ওপর। বীর্যের নমুনায় পলিস্টিরিন, পলিভিনিল ক্লোরাইড-সহ ৮ রকমের মাইক্রো প্লাস্টিক পলিমার পেয়েছেন গবেষকরা।স্থলে, জলে এমনকি বাতাসে মেঘেও মিলেছে প্লাস্টিকের কণা। গবেষকদের মতে, প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খেলে সেই জলের মাধ্যমে প্লাস্টিকের কণা শরীরে ঢুকছে।
এছাড়াও বাতাসে মিশে থাকা প্লাস্টিকের কণা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ঢুকছে। এছাড়াও প্লাস্টিকের পাত্রে গরম করা খাবারের মাধ্যমে প্লাস্টিকের বিষ শরীরে ঢুকছে। মাইক্রো প্লাস্টিক পলিমারের শরীরে ঢোকা আটকানো এখন কার্যত অসম্ভব। গড়ে প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরে এখন প্রতি সপ্তাহে একটা ক্রেডিট কার্ডের সমান প্লাস্টিক ঢোকে। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে Science of the Total Environment নামক জার্নালে