ad
ad

Breaking News

Sick leave

Sick leave: ৭ দিন আগে দিতে হবে অসুস্থতার ছুটির দরখাস্ত! ভাইরাল স্ক্রিনশট ঘিরে তোলপাড় নেটদুনিয়া

মানুষের শরীরে কখন কি হয় তা কেউ বলতে পারে না। এই হয়তো আপনি কাউকে দেখছেন তিনি সুস্থ আছেন, পরক্ষণেই আপনি দেখবেন হঠাৎ তিনি অসুস্থ। অর্থাৎ কার কখন শরীর খারাপ হবে তা কেউ আগে থেকে ভবিষ্যৎবাণী করতে পারে না

Sick leave application should be submitted 7 days in advance

প্রতীকী চিত্র

Bangla Jago Desk : মানুষের শরীরে কখন কি হয় তা কেউ বলতে পারে না। এই হয়তো আপনি কাউকে দেখছেন তিনি সুস্থ আছেন, পরক্ষণেই আপনি দেখবেন হঠাৎ তিনি অসুস্থ। অর্থাৎ কার কখন শরীর খারাপ হবে তা কেউ আগে থেকে ভবিষ্যৎবাণী করতে পারে না। কিন্তু এই শরীর খারাপের জন্য ডাকি সাত দিন আগে থেকে ছুটির দরখাস্ত জমা দিতে হবে অফিসে! এমনই একটি অদ্ভুত ঘটনা সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে জানা যাচ্ছে একজন ভারতীয় ম্যানেজার তার কর্মচারী কে বলেছেন, অসুস্থতার ছুটির জন্য তাকে সাত দিন আগে আবেদন করতে হবে তাহলেই তিনি নাকি ছুটি পাবেন। আর এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় নেট দুনিয়া। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, এক কর্মচারী “অ্যান্টিওয়ার্ক” রেডডিট ফোরামে তার বসের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

ওই স্ক্রিনশটটিতে দেখা যাচ্ছে, এক কর্মচারী তার সিনিয়র কে জানিয়েছিলেন, ” আমার শরীর ভালো নেই তাই আমি অফিসে যেতে পারবো না।” এরপর ম্যানেজার জিজ্ঞেস করেন, তিনি অসুস্থতার জন্য ছুটির পরিকল্পনা করছেন কিনা। এরপর, বস জানান, ” অসুস্থতার জন্য ছুটি নিতে গেলে আপনাকে কমপক্ষে ৭ দিন আগে আমাদের জানাতে হবে।” এর উত্তরে কর্মচারী বলে, ” আমি কবে কিভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বো তার সাত দিন আগে থেকে কিভাবে জানাবো?”

[ আরও পড়ুন : Patashpur school: অভিনব ভাবনায় সামাজিক বার্তা, ‘বৃক্ষায়ণ’ ও বই উৎসব স্কুলে

এই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। বসের এই দাবিতে নেটিজেনরা একেবারেই হতবাক। একজন রেডডিট ব্যবহারকারী কমেন্টে লিখেছেন, ” আপনি প্রতিদিন অফিসের মেইলে এটি ইমেইল পাঠান। সেই ইমেলে জানিয়ে রাখুন যে আমি এখন থেকে সাত দিন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারি তাই এই অসুস্থতার জন্য আমাকে ছুটি নিতেও হতে পারে। এইভাবে রোজ আপনি একটি এপ্লিকেশন লিখে সেটি অফিসের ইমেইল নাম্বারে পাঠান।” এরপর অপর একজন লেখেন, ” সবচেয়ে ভালো হবে ম্যালিগন্যান্ট কমপ্লায়েন্স টাইমিং…… প্রতি সোমবার সকালে পূর্বনির্ধারিত অসুস্থ ছুটির নোটিশ আপনি অফিসে জমা দিন। তারপর আপনি যখন পরের সপ্তাহে একটি নতুন নোটিশ জমা দেবেন তখন আগেরটি বাতিল করুন।”

এই পোস্টটি ভাইরাল হতেই অনেকে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও l এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে এসে শেয়ার করেছেন। একজন জানিয়েছেন, ” আমি একটি সুপার মার্কেটে কাজ করতাম। একদিন আমার সান্ধ্যকালিন শিফট ছিল। বিকেলের কোন এক সময় আমি সিঁড়ি থেকে নিচে পড়ে যাই। এরপর আমার হাঁটুতে আঘাত লাগে। ঠিক সেই অসুস্থ অবস্থায় আমি অফিসে ফোন করি এবং আমার অসুস্থতার কথা জানাই। তখন আমার অফিস থেকে আমাকে বলা হয়েছিল যে করেই হোক আমাকে অফিসে পৌঁছতে হবে এবং লিখিতভাবে জানাতে হবে যে আমি অসুস্থ। এরপর অবশেষে কোন পথ না পেয়ে আমি বাধ্য হয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে অফিসে পৌঁছেছিলাম।”

[ আরও পড়ুন : Priyanka Chopra: চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ,এ কী হল প্রিয়াঙ্কার?

দশটা-পাঁচটা অফিস হোক বা কর্পোরেট সেক্টরের টানা ন’-দশ ঘণ্টার শিফট, দিনের অনেকটা সময় আমাদের কাটে কর্মজগতে। তাই ধকল, উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তা জীবনের সঙ্গে না চাইতেও জড়িয়ে পড়েছে। কাজের চাপে রাতের পর রাত ঘুম আসছে না  অনেকের। এত চাপের পর মাঝে মধ্যে শরীর খারাপ হওয়া টা স্বাভাবিক নয়কি? হ্যাঁ, স্বাভাবিক। কিন্ত এটা বোঝে কয়জন? আর তার পরে যদি কথা ওঠে অসুস্থতার জন্য নাকি ৭ দিন আগে থেকে অফিসকে জানাতে হবে! তাহলেতো একেবারে নাজেহাল অবস্থা। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো অফিসের মালিকেরও বোঝা উচিত কর্মীর শারীরিক অসুস্থতার কথা।