সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: ছোট্ট ছেলেটা বরাবরই বকম বকম পায়রার কাছে তার রকম সকম মনের ধারণা প্রকাশ করত। না না একাজে বাড়ির কোন বাধা কোনদিনই মানেনি সে। রোজ পায়রাকে চাল গম এবং দানাশশ্য খেতে দেওয়াই ছিল তার নিত্য দিনের অভ্যেস। তবে, তার এই অভ্যেসে বাড়ির লোক যে বিরক্ত হতো তা নয় বরং ভালো চোখেই দেখেছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু কে জানত! পায়রার প্রতি এত যত্নই একদিন কাল হয়ে দাঁড়াবে তার জীবনে। পায়রা সংস্পর্শে আসা ১১ বছরের ওই কিশোরকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। কিন্তু কেন? কি এমন হয়েছে তার?
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে শিশুটি। শারীরিক অবস্থা এতটাই উদ্বেগ জনক যে দিল্লির SGRH হাসপাতালে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখতে হয়েছে। কিশোরীর বাড়ি পূর্ব দিল্লিতে। চিকিৎসকদের মতে, পায়রার বিষ্ঠা এবং পাখনা থেকে সম্ভবত হাইপার সেনসিটিভ নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়েছে ওই কিশোর। এরপর তাকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। গুরুতর শ্বাসকষ্ট জড়িত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়া হয় চিকিৎসকের তরফে। আরে পরীক্ষাতেই কিশোরের ফুসফুসে সমস্যা ধরা পড়ে। এমনকি রেডিওগ্রাফে দেখা গিয়েছে ফুসফুসের যে অংশটির রং অপেক্ষাকৃত গাড়ো থাকার কথা সেই স্থানের একাংশই ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে।
হাসপাতালের পেড্রিয়াটি ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটের কো – ডিরেক্টর চিকিৎসক ধীরেন গুপ্ত জানান, ” প্রথমদিকে কিশোরের বুকে সর্দি এবং কফ জমেছিল। কিন্তু দিন দিন কিশোরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় কিশোরের ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে। পরবর্তীকালে হাইপার সেনসিটিভ নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এরপর চিকিৎসকরা ওই শিশুটির পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চান সে বাড়িতে কী কী করত? এরপরই চিকিৎসকরা জানতে পারে কিশোরের এই সমস্যার মূলে রয়েছে পায়রা। চিকিৎসক মহলের মতে, দীর্ঘদিন ধরে পায়রার সংস্পর্শে আসার কারণে পায়রার বিষ্ঠা এবং পাখনার মাধ্যমে এলার্জির সমস্যা দেখা দিয়েছে ওই কিশোরের শরীরে। এরপর তার অক্সিজেন থেরাপি চলে। স্টেরয়েড চিকিৎসাও বহাল থাকে। যেহেতু পায়রার থেকে নানান জীবানু ছড়ায় তাই চিকিৎসকেরা পায়রার থেকে ওই কিশোরকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আরো সচেতন হওয়ার প্রতি জোর দিয়েছেন তারা।
চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের মধ্য়ে হাইপার সেন্সিটিভ নিউমোনিয়া অত্যন্ত বিরল, ১০ লাখের মধ্য়ে মাত্র চারজনের ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সমস্য়ায় ভোগে রোগী। ফলস্বরূপ ফুসফুসের টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হয়।