ছবি : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : মঙ্গলবার সন্ধে থেকে আরও বৃষ্টি বেড়েছে সিকিমে। লাগাতার অবিরাম বৃষ্টির জেরে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ। বেহাল হয়ে পড়েছে সড়ক পরিবহণ। ধাক্কা খাচ্ছে যান-চলাচল। বাংলার সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।ধসের জন্য ১০নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। আইএমডি-র হিসেব অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১০১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিকিমে। সিংথামে ধস নামায় যাঁরা বেড়াতে গিয়েছেন তাঁরা বিপত্তির মুখে পড়েছেন। কিভাবে বাড়ি ফিরে আসবেন তার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। মূলতঃ ১০নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়েই যান চলাচল করে।এই মহাসড়ক ব্যবহার করেই পাহাড়ি রাজ্যে যান ভ্রমণপিপাসুরা।
[ আরও পড়ুন – Parliament Session: ২৪ জুন থেকে বিশেষ ৮ দিনের অধিবেশনে স্পিকার নির্বাচন হতে পারে সংসদে]
ফলে মূল সড়কে এখন সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত দু’দিন ধরে দক্ষিণ সিকিমে অবিরাম বৃষ্টির জেরে ভোর রাতে ধস নামে। বন্ধ হয়ে যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বাংলা ও সিকিমের বহু গাড়ি সেই রাস্তায় আটকে পড়েছে । সিকিম প্রশাসনের তরফ থেকে ধস সরানো কাজ শুরু হয়েছে।যেসব পর্যটক এই প্রতিবেশী রাজ্যে বেড়াতে গেছেন তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন।বাড়ির লোকেরাও ভাবছেন কিভাবে স্বজনেরা স্বভূমিতে ফিরবে।জাতীয় সড়ককে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সিকিম প্রশাসন যুদ্ধকালীন তত্পরতা শুরু করেছে।যাতে স্বাভাবিক যান চলাচল সম্ভব হয় সেজন্য সেরাজ্যের প্রশাসন চেষ্টার খামতি রাখছে না। অন্যদিকে ইয়াঙ্গনে প্রবল বৃষ্টি অব্যাহত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার ট্যুরিজম সেন্টারটি। সিকিমের রানিখোলা সহ বেশকিছু নদীতে জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কিছু জায়গায় জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে তিস্তায় জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে।টইটুম্বুর তিস্তা দেশে নদীপারের মানুষও বেশ আশঙ্কায় রয়েছেন।
[ আরও পড়ুন – জামাই আদরে তোড়জোড় , ভিড় ফল মিষ্টির দোকানে]
এদিকে, পাহাড়ে অনবরত বৃষ্টির কারণে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে জলপাইগুড়িতেও। সেই কারণে নদীতে আটকে পড়ে ট্রাক্টর। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের মালবাজার ব্লকের কুমলাই নদীতে। কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের খোয়ার মোড় এলাকা দিয়ে ট্রাক্টরটি কুমলাই নদীতে নামে।এরপরই ঘটে বিপত্তি। পাহাড়ি নদীতে হঠাৎই জল বেড়ে যায়। নদীর মাঝেই আটকে পড়ে ট্রাক্টরটি।উত্তরবঙ্গবাসীর আশঙ্কা পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি হলে সমতলের নদীতে জলস্ফীতি স্বাভাবিকভাবেই ঘটবে।