ছবিঃ গ্রাফিক্স
Bangla Jago Desk: জোরদার করতে তৃণমূল কংগ্রেস এবার ১২জন মহিলাকে প্রার্থী করে।এবার সুজাতা মণ্ডল বাদে ১১জনই জয়ী হয়েছেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে,লোকসভার জয়ী প্রার্থীদের ৩৮শতাংশই মহিলা। সেখানে বিজেপির একজনও মহিলা সাংসদ এরাজ্যে নেই।তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, বিজেপি নারী বিদ্বেষী,তাঁরা আসলে মহিলাদের ক্ষমতা দেয় না, নারীশক্তির বিকাশ সার্থক করেছে ঘাসফুল শিবির। মুখে বিজেপি মহিলাদের ৩৩শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা বললেও তাঁরা নারীর ক্ষমতায়ন চায় না।একথা বিরোধীরা অনেক সময়েই অভিযোগ করেছেন।নামমাত্র কয়েকজনকে কেন্দ্র মন্ত্রী করে আসলে বিজেপি চমক দেয়।মুখে ভারতমাতার কথা বললেও জননীদের চালিকাশক্তির আসনে বসাতে চায় না।তাই এবার মহিলাদের সেভাবে টিকিট দেয়নি বিজেপি।তুলনায় তৃণমূল কংগ্রেস ১২জন মহিলাকে প্রার্থী করে।তাঁদের মধ্যে ১১জনই জয়ী হয়েছেন।
২০১৯-য়ের তুলনায় ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বেড়েছে তৃণমূলের মহিলা সাংসদ বেড়েছে। সপ্তদশ লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন ৯ জন , এবার ১১ জন সাংসদ গণতন্ত্রের মন্দিরে প্রবেশ করতে চলেছেন।তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সাংসদ হল ৩৮শতাংশ আর বিজেপির সেখানে মহিলা সাংসদ মাত্র ১২শতাংশ। বিজেপি যেখানে ভোটে জিততে ৩৩শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের কথা বলে চমক দিচ্ছে সেখানে,তৃণমূল কংগ্রেস ৩৮শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি সংসদে পাঠিয়ে অর্ধেক আকাশের জয়গান সার্থক করেছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। ১১জন মহিলা সাংসদের মধ্যে তৃণমূলের নতুন মুখ ৫ জন। রচনা বন্দোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, শর্মিলা সরকার, মিতালি বাগ। বাকি ৬ জন গতবারও সাংসদ ছিলেন। শতাব্দী রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মালা রায়, সাজদা আহমেদ, প্রতিমা মণ্ডল ও মহুয়া মৈত্র।এছাড়া তৃণমূলের রাজ্যসভায় রয়েছেন দোলা সেন, সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেব ও মমতা বালা ঠাকুর, মৌসম বেনজির নুর।শুধু সংসদই নয়,রাজ্য বিধানসভাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৩ শতাংশের বেশি মহিলা সদস্য রয়েছে।
পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সর্বত্র মহিলা প্রতিনিধিদের জায়গা দিয়ে আসলে তৃণমূল কংগ্রেস নারী ক্ষমতায়নের আদর্শকে বাস্তব রূপ দিচ্ছেন বলেও দাবি দলের নীতিকারদের।তৃণমূল কংগ্রেস বলছে,রাষ্ট্রশক্তি চালনা থেকে উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য নেতাদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা হোক বা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব সামলানো, সবেতেই মমতার জুড়ি মেলা ভার।আর সেই মমতার ভাবনায় গড়ে ওঠা তৃণমূল কংগ্রেসও দেশের সামাজিক ন্যায়,সম বিকাশও সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে দূরদর্শী মহিলাদেরই নেতৃত্বে জায়গা দিচ্ছে।সংসদে তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা , সরকারের সমালোচনা বা বাংলার দাবি আদায় করে আনা,সব ক্ষেত্রেই এই ১১মহিলা সাংসদ কণ্ঠ জোরদার করবেন বলে আশা।বঙ্গনারীদের মেধা,মুন্সিয়ানা আর বাস্তববোধ বাংলার হাত শক্তিশালী করার মতোই দেশের গণতন্ত্র,যুক্তরাষ্টীয় কাঠামোকে শক্তিশালী করবে বলেও প্রত্যাশা করছেন সমাজকর্মীরা। কথায় বলে,না জাগলে ললনা,এ ভারত জাগে না। এখন ভারত- সভায় তৃণমূলের ১১সাংসদ কতটা নজরকাড়া ভূমিকা পালন করে সেটাই লক্ষ্যণীয়।