Bengla jago Desk: রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবিতে তৃণমূলের মিশন দিল্লি শেষ হয়েছে। তৃণমূলের দু’দিনের কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দিল্লি। সময় দিয়ে শেষপর্যন্ত দেখা তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেননি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। দেখা করার দাবিতে অনড় তৃণমূল প্রতিনিধি ও বঞ্চিত শ্রমিকদের ওপর উল্টে বলপ্রয়োগ করা হয়। এতকিছু হলেও পিছিয়ে আসতে নারাজ তৃণমূল। বরং লড়াই আরও শক্ত করার ডাক দেওয়া হয়েছে। দিল্লি থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল রাজভবন অভিযানের কথা। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি। তাই তাঁর কাছে রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবি জানানো হবে। কথা মতো ‘মিশন রাজভবন’ করল তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রসদনের মোহরকুঞ্জের সামনে জমায়েত করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
দুপুর আড়াইটে থেকে জমায়েত শুরু হয়।জওহরলাল নেহরু রোড ধরে এগোয় মিছিল। পার্ক স্ট্রিট ক্রসিং পেরিয়ে এসপ্ল্যানেড থেকে বামদিকে যায় মিছিল। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ ধরে সোজা এগিয়ে রেড ক্রস রোড ধরে রাজভবনের নর্থ গেটে পৌঁছয় মিছিলটি। চোখে পড়ার মতো ভিড় হয়েছিল তৃণমূলের মিছিলে। সেনাপতি অভিষেকের সঙ্গে দেখা যায় দলের সাংসদ, বিধায়ক-সহ শাসকদলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। রাজভবনের সামনে সমাবেশে ভাষণ দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। একে একে মঞ্চে ওঠেন সায়নী ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, মহুয়া মৈত্র, শতাব্দী রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা।
বঞ্চিত শ্রমিক স্বার্থে লড়াই জারি থাকবে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।বুধবার তৃণমূলের তরফে রাজ্যপালের কাছে সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি দেখতে দিল্লি থেকে উত্তরবঙ্গ সফরে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল জানান, সেখানে গিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারে। রাজ্যপালের এই জবাবকে সরাসরি ‘জমিদারি মানসিকতা’ বলে তোপ দাগে বাংলার শাসকদল। রাজ্যপাল না থাকলেও পূর্ব নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী রাজভবন অভিযান করে তৃণমূল কংগ্রেস। মিশন রাজভবন থেকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, বঞ্চিত শ্রমিকদের দাবি আদায়ের স্বার্থে লড়াই জারি থাকবে।
Free Access