সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: মেদিনীপুর ছেড়ে তাঁকে লড়তে হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে।সংঘ পরিবারের সংগঠন করায় পারদর্শী দিলীপ ঘোষ এবার কুপোকাত হয়েছেন।নতুন পিচে খেলতে গিয়ে কীর্তি আজাদের ঘূর্ণি বলে তিনি বোল্ড আউট হয়ে গেছেন।শুধু প্রতিপক্ষ শিবিরের কাছেই নয়,দলের ভিতরেও তাঁর বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়া হয়েছে,রাখঢাক না করে একথা বারবার বলছেন দিলীপ ঘোষ।
[ আরও পড়ুন: T20 World Cup : পাকিস্তানকে হারানোর নায়ক মার্কিন ক্রিকেটার সৌরভ নেত্রভালকর সম্পর্কে কতটুকু জানেন?]
কার্যতঃ শুভেন্দু-সুকান্তদের লাগাতার তুলোধনা করছেন।আর দলের সেন্সরশিপের পরোয়া করতে রাজি নন বিজেপির ডাকাবুকো নেতা।দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মেনে নিচ্ছেন,দিলীপ ঘোষের আমলেই ২০১৯এ বিজেপি বাংলা থেকে ১৮টি আসন পায়।এবার সেই দিলীপই হেরেছেন রেকর্ড ভোটে,১৮ ছেড়ে ১২আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ডবল ইঞ্জিনের তাত্ত্বিকদের।এর মাঝে দিলীপের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট তোলপাড় ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলীপ ঘোষ,অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা তুলে ধরে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে মনে করিয়ে দিয়েছেন,পুরনো নেতাদের গুরুত্বহীন করে দলবদলু নেতাকে মাথায় তুললে কী বিষম পরিণতি হতে পারে।পোস্টে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা তুলে ধরে দিলীপ উল্লেখ করেছেন, ‘আমার একটা কথা মাথায় রেখো,দলের পুরনো একজন কর্মীকেও ভাঙতে দেওয়া যাবে না।প্রয়োজনে দলের নতুন কার্যকর্তাদের ১০ জন আলাদা হয়ে যাক।কারণ পুরনো কার্যকর্তারাই আমাদের বিজয়ের গ্যারান্টি। খুব দ্রুত নতুন কার্যকর্তাদের উপর ভরসা করা উচিত্ নয়।এই বাক্যবাণের টার্গেট যে শুভেন্দু অধিকারী তা বুঝতে কারুর অসুবিধা হচ্ছে না।কারণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই এবার প্রার্থী ঠিক করেন।
তিনি ঘুঁটি সাজান ইচ্ছেমতো।যারজন্য দেবশ্রী চৌধুরীকে রায়গঞ্জ থেকে দক্ষিণ কলকাতায় লড়তে হয়,দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর ছেড়ে বর্ধমান –দুর্গাপুরে প্রার্থী করা হয়েছিল বিজেপির।বাস্তব অবস্থা না বুঝে পুরনো সাংসদদের ইচ্ছেমতো জায়গা বদল করার জন্যই গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবি যে হয়েছে সেকথা দিলীপ ঘোষ বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত।