Bangla Jago Desk: পঞ্জাবের অন্যতম মূল আর্কষণ অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির। ওয়াঘা সীমান্ত ঘেঁষা শিখদের তীর্থভূমি এই অমৃতসর ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে শীর্ষ জনপ্রিয় স্থান হয়ে উঠেছে ।ভুবনখ্যাত সেই সোনার মন্দরের আদলে দুর্গা মণ্ডপ তৈরি করেছেন ইসলামপুরের পুলিশ কর্মীদের পুজো উদ্যোক্তারা।তাতেই জনপ্লাবনের ঢেউ আছ়ড়ে পড়ছে ইসলামপুরজুড়ে। ইতিহাস মতে, পঞ্চম গুরু অর্জুন ১৬০১ সালে গড়ে তোলেন আয়তাকার সরোবরের মাঝে এই হরমন্দির। জনশ্রুতি, এই সরোবরের জল অমৃতের মতোই শুদ্ধ, তাই শহরের নাম চক রামদাসপুর থেকে বদলে হয় অমৃতসর।
১৬৬১ সালে আহম্মদ শাহ দুরানি শিখদের পবিত্র এই মন্দিরটি ধ্বংস করেন। ১৭৬৪ সালে মন্দিরটি ফের নতুন করে গড়ে তোলা হয়। ঊনবিংশ শতকে রণজিৎ সিংয়েরর উদ্যোগে মন্দিরটি সংস্কার করা হয়। এই সময়েই মন্দিরের উপরি ভাগ সোনায় মুড়ে দেন রণজিৎ সিং । সেই থেকে সোনায় ঢাকা এই মন্দিরের নাম বদলে হয় স্বর্ণমন্দির।এখন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে অনেকেই এই মণ্ডপে আসছেন।দুর্গা দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে শিখ তীর্থভূমির দর্শন হয়ে যাওয়ায় জোড়া উদ্দেশ্যপূরণ হচ্ছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।পূজা মন্ডপের ঠিক সামনেই রয়েছে জলের কুণ্ড।
এই ধর্মীয় আবহকে অন্যরকম আঙ্গিক দিতে আলোর ঝর্না ধারায় ভরিয়ে তোলা হয়েছে। ইসলামপুর পুলিশ লাইনের দুর্গোৎসবকে ঘিরে পুলিশ কর্মীদের মতোই জনউচ্ছ্বাসের প্লাবন দেখা যাচ্ছে। এদিকে,বারো মাসে তেরো পার্বণের থিমকে পাথেয় করে ইসলামপুরের বিগ বাজেটের পুজো গুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ইসলামপুর থানার আবাসিকদের এই দুর্গোৎসব।সবমিলিয়ে স্বর্ণমন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপ দর্শনার্থীদের মনে আলাদা ছাপ রাখবে বলে আশায় পুজো উদ্যোক্তারা। সুব্রতকান্তি বিশ্বাসের রিপোর্ট ।
Free Access