Bengla Jago Desk: ঢাক ছাড়া পুজো মানায় না।ঢাকের তালে কোমর দোলায় না, এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।‘পুজো-পার্বন থেকে আনন্দের অনুষ্ঠান সর্বত্র এই ঢাকিরাই শব্দ-ব্রক্ষ সৃষ্টি করেন।ঢাকের বোলে উত্সবের-অঙ্গনকে মাত করে দেন। ‘দুর্গাঠাকুরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় তখন ঢাক লাগে।ঢাকের সেই তালকে বলা হয় নামানি তাল। আর ভোর বেলায় যে বাদ্যযন্ত্রের জাদুতে উমা সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভাঙে তাঁকে ভোরাই তাল বলে। ঢাকের নামানি তালে যাঁরা পুজোর আসর মুখর করেন,যাঁদের ভোরাই তালে মা দুর্গা সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভাঙে,অথচ তাঁদেরই কদর করা হয় না উত্সবের সময়। অথচ কথিত আছে,,ঢাকি ঢাক বাজিয়ে পায় না লুচি… এই অক্ষেপের সুর শোনা যায় শিল্পীদের গলাতেও।
তাই ঢাকিদের মর্যাদা দেওয়ার জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করে কোলাঘাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। পুজোর মনোরঞ্জনে রসদ জোগানোর জন্য সম্মানিত করা হল তালবাদ্যের এই শিল্পীসমাজকে।কোলাঘাটের এই শিল্পদরদী সংস্থা লোক শিল্পীদের কৌলিন্যের মর্যাদায় ভূষিত করায় সমাজে তাঁর আলাদা ছাপও লাগে।ধূপের গন্ধ মাখা মণ্ডপে তুফান তোলেন এইসব ঢাকিরাই। যখন ধুনুচি থেকে ওঠা ধোঁয়া পাক খেয়ে যখন সালঙ্কারা মৃন্ময়ীকে স্পর্শ করে তখন এক অন্যরকম আবহ সৃষ্টি হয়।
বঙ্গ সংস্কৃতির বোল ফোটানো এইসব শিল্পীদের থিম মেকার,মৃত্ শিল্পী,কারুশিল্পীদের সম-আসনে বসিয়ে কৌলিন্যের ফ্রেমে নিয়ে আসার প্রয়াস দর্শনার্থীদের কাছেও আলাদা আনন্দ বয়ে আনে।পুজোর কদিন প্যান্ডেলেই রাত্রিবাস থেকে অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করেন ঢাকিরা। ভোর থেকে রাত, পূজোর সময় নির্ঘন্ট মেনে ঢাক বাজানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেন তাঁরা। উৎসবের কদিন বাড়ির লোকেদের দেখা পর্যন্ত পায় না এইসব লোকশিল্পীরা।তাই জনপ্রিয় পুজোর সুর বাঁধতে উদ্যোগী ঢাকিদের মর্যাদার আসনে সমাজ বসালে তা আলাদা বার্তা যাবে বলে আশা পুজো উদ্যোক্তাদের।
Free Access