Bangla Jago Desk: নৈহাটির শ্যামাপুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ অরবিন্দ রোডের বড়মা কালী। এবছর বড়মার পুজো একশো বছরে পদার্পণ করেছে। দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে বড়মার সুখ্যাতি। নৈহাটি স্টেশনে নেমে অরবিন্দ রোড ধরে ফেরি ঘাটের দিকে যেতেই চোখে পড়বে বড়মার মন্দির। নবনির্মিত মন্দিরে কষ্টি পাথরের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আর নতুন মন্দিরের দ্বারোঘাটন হবে রবিবার। নৈহাটির বড়মার মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট। নৈহাটির অন্যান্য কালী প্রতিমার চেয়ে এই মূর্তির উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় জনমানসে বড়মা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
শক্তিদেবী এখানে অত্যন্ত জাগ্রত বলে করে ভক্তরা। প্রতিমার বিশেষত্ব হল ঘন কৃষ্ণবর্ণ এবং স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিত। চিরাচরিত রীতি মেনেই শনিবার কোজাগরী পূর্ণিমায় বড়কালীর কাঠামো পুজো করা হল। তারপর সেই কাঠামোর ওপর মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হবে। সেই প্রতিমায় হবে কালীপুজো। পুজোর সময় বড় মা-কে প্রচুর গয়না দিয়ে সাজানো হয়। তবে সমস্ত সোনার গয়না খুলে ফুলের গয়নায় সাজিয়ে প্রতিমাকে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়।নৈহাটির বড়মার মন্দিরে এতদিন কালীমায়ের ফটোকেই পুজো করা হত।
কালীপুজোর সময় মাটির বিশালাকার কালীমূর্তিতে পূজিত হন বড়মা। এবার বড়মার নতুন মন্দির তৈরি হয়েছে। মন্দিরের পাশাপাশি সেখানে ৪০০ জনের থাকার মতো ধর্মশালা ও বৃদ্ধবাস গড়ে তোলা হয়েছে। নদিয়া জুটমিলের কর্মী তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী ভবেশ চক্রবর্তী এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। পুজোর সময় চার দিন দেবীর বিশেষ পুজো করা হয়। প্রত্যেক দিন আলাদা আলাদা করে বড়মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। এবার বড় মা-র পুজোকে ঘিরে জমে উঠবে নৈহাটি।
free Access