Bengla Jago Desk: বিশ্বকর্মা পূজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি। সকাল থেকে আকাশে দেখা মেলে রং বেরঙের নানান ঘুড়ি। শহর থেকে গ্রামের আকাশে চলে ঘুড়ির লড়াই। এই ঘুড়ি আকাশে উড়াতে ব্যবহৃত হয় লাইলন সুতো। কিন্তু বর্তমানে নদিয়া জেলায় লাইলন সুতো প্রশাসন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই লাইনের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে সাধারণ সুতো।আর যার ফলে পুজোর দিন প্রচলিত প্রচলনে কিছুটা হলেও বাধা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিষিদ্ধ এই সুতো।আকাশে পাখির মতো ঘুড়ি ওড়াতে সাধারণত লাইলন সুতোকে ব্যবহার করা হয়। না হলে সঠিকভাবে ঘুড়ি আকাশে ওড়ানো সম্ভব না বা ঘুড়ির লড়াইয়ে কেউ টিকে থাকতে পারে না।
এই লাইলন সুতোকে চিনা মানজাও বলা হয়। কারণ এই সুতোর ওপর মাঞ্জা দিতে এক ধরনের কেমিক্যালের প্রলেপ দেওয়া হয়। যা সাধারণত কাঁচের গুঁড়ো ও সাবুর গুড়ো দিয়ে তৈরি। যার ফলে এই চিনা মানজা বা লাইলন সুতোর দ্বারা বিভিন্ন পাখি সহ মানুষও বহুবার আহত হয়েছে।আর তাই নদিয়া জেলার প্রশাসন এই লাইলনের সুতো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সুতোর ব্যবহার বন্ধ করায় শুধু প্রচলিত প্রথার ওপর ব্যাঘাত ঘটেনি সঙ্গে ঘুড়ি ব্যবসায়ীকদেরও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বর্তমানে। ঘুড়ি ব্যবসায়ীদের দাবি প্রতিবছর এই দিন প্রচুর সংখ্যক ঘুড়ি এই পুজো উপলক্ষে তৈরি করেন ও তা সঠিক মূল্যে তা বিক্রিও করেন।
বর্তমানে এই লাইলন সুতো বন্ধ হওয়ায় আগের মত সেই পরিমাণ ঘুড়ি কেউ ক্রয় করে,শুধু তাই নয় বর্তমানে অধিকাংশ বাচ্চারা মোবাইলে আসক্ত হওয়ায় ঘুড়ির থেকে মূখ ফিরিয়েছে তারা। যার প্রভাব পড়েছে ঘুড়ি ব্যবসায়ে।বিশ্বকর্মা পূজার আগেই লেবুতলা ঘুড়ির মার্কেটে ভিড় জমিয়েছে ঘুড়ি প্রেমীরা। কিন্তু আগে যে ধরনের বিশ্বকর্মা পুজোতে ঘুরি কেনার আগ্রহ থাকতো লোকেদের এখন সেই ধরনের ভিড় আর চোখে পড়ে না। ফিকে হয়েছে ঘুড়ির বাজার, তবে ভালোবাসার টাণে এখন অনেকেই ছূটে যায় কলকাতার লেবুতলার ঘুড়ি মার্কেটে।নতুন প্রজন্মের কাছে ঘুড়ির প্রতি যে ভালোবাসা তা জাগাতে না পারলে আগামী দিনে বিলুপ্তির পথে হাঁটবে ঘুড়ি শিল্প এমনই আশঙ্কার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা