ad
ad

Breaking News

অর্থনীতির

আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র! জঙ্গলমহলে চাঙ্গা হচ্ছে অর্থনীতি

Bangla Jago Desk: জঙ্গলমহল এখন স্বাভাবিক-শান্ত পরিবেশের মধ্যে লালিত-পালিত হচ্ছে।বন্দুকের আওয়াজ না থাকায় হিংসা-রক্তপাতের আর ছায়া পড়ে না।তাই শান্তির আবহে এখন অর্থনীতির জমি তৈরি হচ্ছে।পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির বিকাশ প্রত্যাশিতভাবে হওয়ায়  তার সুফল সর্বস্তরের মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। ঝাড়গ্রামের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হল চিল্কিগড় কনক দুর্গার মন্দির।এখন সামনেই পুজো।তাই মন্দিরে সনাতনী মায়ের আরাধনার তোড়জো়ড এবার শুরু হতে […]

Bangla Jago Desk: জঙ্গলমহল এখন স্বাভাবিক-শান্ত পরিবেশের মধ্যে লালিত-পালিত হচ্ছে।বন্দুকের আওয়াজ না থাকায় হিংসা-রক্তপাতের আর ছায়া পড়ে না।তাই শান্তির আবহে এখন অর্থনীতির জমি তৈরি হচ্ছে।পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির বিকাশ প্রত্যাশিতভাবে হওয়ায়  তার সুফল সর্বস্তরের মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। ঝাড়গ্রামের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হল চিল্কিগড় কনক দুর্গার মন্দির।এখন সামনেই পুজো।তাই মন্দিরে সনাতনী মায়ের আরাধনার তোড়জো়ড এবার শুরু হতে চলেছে। কথিত আছে, প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগে মায়ের স্বপ্নাদেশে  এখানকার রাজা, রানীর কঙ্কন বালা দিয়ে মায়ের মূর্তি গড়েছিলেন। তারপর এই মন্দিরই স্থাপন করা হয়েছিল চিল্কিগড়ের ডুলুং নদীর চড়ায়, ঘীর অরণ্যের মাঝে।  প্রথমে এখানে ব্রাহ্মণ রাজা স্বরূপ ত্রিপাঠী   পুজো করে আসছিলেন পরবর্তী ক্ষেত্রে সামন্ত রাজা এই পুজো চালিয়ে আসছেন।

অন্যান্য পূজোর  থেকে এখানকার নিয়মাবলী  একটু ভিন্ন। কারণ মা কে অন্য ভোগের সঙ্গে সকালে হাঁসের ডিম, দুপুরে মাছ আবার রাতে অন্যান্য খাবার দেওয়া হয় প্রতিবার খাবারের শেষে মায়ের জন্য একটি পান  দেওয়া হয়।ঐতিহ্যের এই মন্দির এখন পর্যটকদের কাছে আলাদা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।সেবাইতরা আরও বলছেন,রাজ আমলের ঐতিহ্য মেনে এক সময় এখানে  নরবলি দেওয়া হত, যুগের পরিবর্তনে নিশা বলি হয়।এখন পাঁঠা  বলি চালু আছে।প্রথা অনুযায়ী, পাঁঠা বলির মাংস এনে মসলার সাথে মিশিয়ে তিনটি কাঠ জ্বেলে একটি ঘরে বন্ধ করে দেয়া হতো। পরের দিন সেই রান্না ঘর থেকে রান্না বের করতেন পুরোহিতরা যার নাম ছিল বিরাম ভোগ ।

যুগ যুগ ধরে এখানে পুরোহিতরা বলে আসছেন এই রান্না না কি মা নিজেই করেন সেই প্রথা মতো আজও এই রান্না চলে আসছে।বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজোয় যাঁরা নিরিবিলিতে কাটাতে চান তাঁরা এই ঝাড়গ্রামের শান্ত পরিবেশকে বেছে নেন।প্রশাসন এখানে থাকার ব্যবস্থা করেছে।মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া অনুদানের অর্থে চিল্কিগড় দুর্গা মন্দির আকর্ষণীয় পর্যটনের জায়গা হয়ে উঠেছে। অতিথিশালায় দূরের মানুষেরা থাকার সুযোগ পাওযায় এবার পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে আশা সকলের। এমনিতেই  পর্যটনকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে।পুজোর আগে সেই অর্থনীতির ধারা যেন আরও শক্তিশালী হচ্ছে।এমনটাই বলছেন প্রশাসনের কর্তা থেকে পর্যটনের ব্যবসায়ী সকলেই।