ad
ad

Breaking News

কামানের গোলা

মাটি খুঁড়তেই উদ্ধার শতাব্দীপ্রাচীন কামানের গোলা  

Bengal Jago Desk: ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে শহর কলকাতা। এই শহরের বুক থেকে মোঘল আমল থেকে শুরু করে ইংরেজ আমলের অব্যবহৃত কামান ও অন্যান্য অস্ত্র সহ নানান ধরনের দুষ্প্রাপ্য মূর্তি ও সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বহুবার। তবে এতদিন কামানের গোলা বা ক্যানন বল পাওয়া যায়নি কোনওদিন। কিন্তু মাস পাঁচেক আগে দুটি বিরাট সাইজের কামানের গোলা উদ্ধার […]

Bengal Jago Desk: ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে শহর কলকাতা। এই শহরের বুক থেকে মোঘল আমল থেকে শুরু করে ইংরেজ আমলের অব্যবহৃত কামান ও অন্যান্য অস্ত্র সহ নানান ধরনের দুষ্প্রাপ্য মূর্তি ও সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বহুবার। তবে এতদিন কামানের গোলা বা ক্যানন বল পাওয়া যায়নি কোনওদিন। কিন্তু মাস পাঁচেক আগে দুটি বিরাট সাইজের কামানের গোলা উদ্ধার হয়েছিল। জলের পাইপ লাইনের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে হাওড়ার শিবপুর থানা চত্বর থেকে উদ্ধার হয়েছিল গোলা দুটি। কামানের সেই গোলা দুটি এবার নিয়ে যাওয়া হল ‘স্টেট জুডিশিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’-এ। সেনা ও কামান বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গোলা দুটির ইতিহাস জানা হবে।

মনে করা হচ্ছে,কামানের এই গোলাগুলি ১৮৮০ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে তৈরি ব্রিটিশরা তাদের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করেছিল এই কামানের গোলা ভারী কামান বসানো থাকতো নদী বা সমুদ্রের পাড়ে শত্রুপক্ষের বড় জাহাজে আক্রমণ করে ডুবিয়ে দেওয়ার হতো বিশেষ করে লক্ষ্য থাকত শত্রুপক্ষের যুদ্ধ জাহাজগুলি ব্যবহার না হওয়া গোলা দুটি এতদিন মাটির নীচে চাপা পড়ে ছিল। ‘স্টেট জুডিশিয়াল মিউজিয়াম ও রিসার্চ সেন্টার’-এ এই গোলা দু’টি রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার জন্য ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া’র অনুমতি চাওয়া হয়।

সেই অনুমতি মিলতেই রাজ্যের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল এবং অফিসিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায় শিবপুর থানায় গিয়ে কামানের গোলা দু’টি নিয়ে আসেন।রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হতে যাওয়া দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী নিয়ে যে জুডিশিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখানেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং গবেষকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সেনা এবং কামান বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ওই গোলা দু’টির ইতিহাস জেনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। গোলা দু’টি সাফাই করে আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনার কাজ করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে এই গোলা দু’টির পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানা যাবে।