Bengla Jago Desk: দুর্যোগ নামলেই নিজভুঁইয়ে বিপন্ন অবস্থার মুখে পড়ার ভয় কাজ করে ঘাটালের মানুষের মধ্যে। কারণ শিলাবতী-কঙ্কাবতী-ঝুমির নদীতে প্লাবিত হয় পঃমেদিনীপুরের এই বর্ধিষ্ণু অঞ্চল।ফি বছর বন্যার সেই যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় ঘাটালবাসীকে। ঘাটালের মনসুকা, অজবনগর সহ ৪টি পঞ্চায়েত এলাকা এবং পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডে এবারও বান ডেকেছে।ভাসছে একের পর এক এলাকা।রাস্তাঘাট থেকে থানা চত্বর সবই জলের তলায়। রাস্তায় চলছে ডিঙি,প্রশাসন ফ্রি নৌকা সার্ভিস চালু করেছে। প্রশাসন চেষ্টা করছে ঘাটালের বন্যা কবলিতদের চোখের জল মোছাতে।তবুও বছর বছর সর্বস্ব হারানোর ডর কাটে না।ছাপোষা মানুষগুলোর ছন্নছাড়া জীবনে যতি পড়ে না।একরাশ ক্ষোভ আর বঞ্চনার অভিমান নিয়ে বন্দিদশার কথা আমাদের ক্যামেরার সামনে তুলে ধরলেন এখানকার বাসিন্দারা।
জল যত বাড়ছে ততই নৌকোয় বাড়ছে ভিড়।চলাচলের পথ বন্যার জলে দখলে চলে গেছে।তাই দোকানবাজারে যাওয়া মানুষের কষ্টকর হয়ে উঠেছে।পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে বানভাসীদের।নৌকো উল্টে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।প্রকৃতির খেয়ালী বর্ষণে কার্যতঃ জনজীবন তছনছ।ঘুরে দাঁড়ানোর তরী এখন ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায়।নয় নয় করে ৩৯বছর পেরিয়ে গেছে ,এখনও ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কার্যকর হয়নি।কার্যকর করেনি কেন্দ্র ,তাতে ক্ষোভ চরমে।ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মূলত ঘাটালকে ঘিরে থাকা মূল নদী এবং শাখা নদীগুলির নিয়মিত ড্রেজিং করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যাতে নদীগুলোর জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং বন্যার হাত থেকে ঘাটাল রক্ষা পায়।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলার পরেও কেন্দ্র নড়েচড়ে বসেনি।রাজ্যের প্রস্তাব মানার জন্য তৃণমূলের প্রতিনিধিদলও দিল্লি যাই।কিন্তু মাস্টারপ্ল্যান সেই অথৈজলে।ফি বছর জলে যায় মানুষের শ্রমের ফসল থেকে সম্পত্তি।তবু চোখ খোলেনি কেন্দ্র।অভিযোগ,রাজনীতির চোরাগলিতে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার মানুষের প্রত্যাশা।কেন্দ্র অবহেলার তালিকায় মাস্টারপ্ল্যানকে ফেলে রাখলেও রাজ্য ত্রাণ –উদ্ধারকাজে কোনও খামতি রাখতে চায় না,সাংসদ দেব থেকে মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা,সকলেই একথা আন্তরিকতা দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
Free Access