Bengla Jago Desk: পেঁয়াজের দামে চোখে জল গৃহিণীদের। ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজের। এমন চলতে থাকলে যে কোনও সময় সেঞ্চুরি করতে পারে। পেঁয়াজের আগুন দাম হওয়ার কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, নাসিক ও অন্ধপ্রদেশ থেকে যে পেঁয়াজ সড়কপথে খড়গপুর হয়ে জেলার বাজার গুলিতে পোঁছয়, তা চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। তাই পেঁয়াজের দাম এখানে বেড়েছে। অন্যদিকে, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে বৃষ্টি কম হঅয়ায় ফলন কম হয়েছে। ফলে বাজারে জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তারই প্রভাব পড়ছে বাংলায়। দেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে যখন এমন অবস্থা, তখন মালদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে দেদার পেঁয়াজ রফতানি হচ্ছে বাংলাদেশে।
এই বাংলায় প্রভাব পড়লেও বৈধ পথেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি হচ্ছে দাবি রফতানিকারকদের। এদিকে, দেশীয় বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে ক্রেতাদের মধ্যে।পুজোর পর থেকেই পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে ছ্যাকা খাচ্ছিল মধ্যবিত্ত মানুষ। পুজোর ইতিমধ্যে এক সপ্তাহ কেটেছে। তারই মধ্যে বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি। মালদা শহরের কোনও কোনও বাজারে প্রায় ১০০ টাকা ছুঁইছুঁই পেঁয়াজের দাম। আবার কোনও কোনও বাজারে সাংবাদিকদের দেখা মাত্র পেঁয়াজের দাম ৫০ থেকে ৬০ কিলো দরে নেমে আসছে।
বর্তমানে মালদা শহরের রথবাড়ি, আমবাজার সহ একাধিক বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ কিলোদরে।পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রফতানিতে লাগাম টানার জন্য কিছুদিন আগে ৪০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও নাগালে আসেনি পেঁয়াজের দাম। বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার করে পেঁয়াজের রফতানি অব্যাহত রাখার দাবি জানান কৃষকরা। কৃষকদের দাবি মেনে অবশেষে পেঁয়াজের রফতানি দর বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত শনিবার রাতে কেন্দ্রের ভোগ্যপণ্য বিষয়ক মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পেঁয়াজের রপ্তানি দর ৬৭ টাকা কেজি বেঁধে দেয়। তাও দেশের বাজারে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম।
Free Access