Bangla jago Desk: কেউ বলেন,ইশ্বর নিরাকার,কেউ বলেন,কালি-খ্রীষ্ট-আল্লার কোনও তফাত নেই।রামকৃষ্ণের ভাবনায় বলাই যায়,যত মত তত পথ।আর এই জাত-কুল-শীল ত্যাগ করে যাঁরা মানবধর্মের পথে চলেন তাঁরাই মহান,তাঁরাই উদার।ভারতের সহিষ্ণুতার পরম্পরায় তাঁরা দিশারী।নজরুল থেকে আব্দুল কালাম,যে ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ লালন করে সমাজ পালনের কথা বলেছেন,সেই ভাবনা বাংলার সমাজজীবনে ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে।
তাই বিদ্যাধরীর তীরের বাসিন্দারা এখনও পীর গোরাচাঁদের মাজারে নামাজ পরার মতোই দুর্গাবন্দনায় মেতে ওঠে। হিন্দুদের মতোই মুসলিমরাও উত্সবের দায়-দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে সামাজিক বাঁধনের বুনোন শক্ত করছেন।এক-২বছর নয়,৭৯ বছর ধরে দুই সম্প্রদায় একযোগে পুজোপাঠ করছেন।
ঢাক আর বাদ্যের তালে সুর বাঁধছেন উত্সবপ্রিয় মানুষইদ আর দুর্গাপুজোর মেলবন্ধনের উদ্দেশ্য ব্যাখা করছেন উ্দ্যোক্তারা।তাঁরা বলছেন,হাতে হাত ধরেই একে ওপরের উত্সবকে সম্পন্ন করা হয়।হাড়োয়া বাজার কমিটির পুজো এবার ৭৯বছরে পড়ল। সম্প্রীতি আগলে রেখেই আনন্দ ভাগ করে নেয় সকলে।বিদ্যাধরীর তীরে শতাব্দী প্রাচীন দুর্গা মণ্ডপ ও পীর গোরাচাঁদের মাজার শরীফ যেন বাংলার পরম্পরার ঐতিহ্যের স্রোত এগিয়ে নিয়ে চলেছে।বিদ্যাধরীর তীর হয়ে উঠেছে মিলনভূমি।
Free Access