ad
ad

Breaking News

দুর্গা প্রতিমা

লাল গাত্রবর্ণের দুর্গার আরাধনা বনেদি বাড়ির পুজোর আছে অলৌকিকতা

Bengla Jago Desk: মন্দিরনগরী নবদ্বীপ শহরের প্রাচীন পারিবারিক দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যোগথতলা এলাকার ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো। শহরে বনেদি পরিবার হিসেবে পরিচিত ভট্টাচার্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহী দুর্গা প্রতিমার গাত্রবর্ণ টকটকে লাল। প্রচলিত আর পাঁচটা পারিবারিক দুর্গা প্রতিমার থেকে ভট্টাচার্য পরিবারের লাল দুর্গা প্রতিমা অনেকটাই আলাদা। এছাড়াও এই পরিবারে চণ্ডীপাঠ ছাড়াই পূজিত হন দেবী দুর্গা। আনুমানিক সাড়ে […]

Bengla Jago Desk: মন্দিরনগরী নবদ্বীপ শহরের প্রাচীন পারিবারিক দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যোগথতলা এলাকার ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো। শহরে বনেদি পরিবার হিসেবে পরিচিত ভট্টাচার্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহী দুর্গা প্রতিমার গাত্রবর্ণ টকটকে লাল। প্রচলিত আর পাঁচটা পারিবারিক দুর্গা প্রতিমার থেকে ভট্টাচার্য পরিবারের লাল দুর্গা প্রতিমা অনেকটাই আলাদা। এছাড়াও এই পরিবারে চণ্ডীপাঠ ছাড়াই পূজিত হন দেবী দুর্গা। আনুমানিক সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন দুর্গার রূপ রক্তবর্ণ হওয়ার পেছনে রয়েছে এক অলৌকিক কাহিনি।বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলার মিতরায় গ্রামে ভট্টাচার্য পরিবারের আদি বাসস্থান মন্দির প্রাঙ্গণে এই পুজোর প্রচলন করেন রাঘব ভট্টাচার্য। তখন দেবী দুর্গার মৃন্ময়ী রূপ ছিল অতসী বর্ণের। এরপর প্রায় ১৫ বছর কেটে যায়।

১৬৮৫ খ্রিস্টাব্দে নবমীর দিন দক্ষিণমুখী অতসী বর্ণের দুর্গা প্রতিমার পূজার্চনা চলাকালীন তৎকালীন গৃহকর্তা রাঘবরাম ভট্টাচার্য চণ্ডীপাঠ করছিলেন। তবে মহাষ্টমীর পুণ্যলগ্ন তিথি অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তিনি দ্রুততার সঙ্গে চণ্ডীপাঠ করতে থাকেন। সেই সময় পিতার দ্রুতলয় চণ্ডীপাঠ শুনে পাঠে ত্রুটি হচ্ছে বলে নিজের গর্ভধারিনী মায়ের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রাঘবরাম ভট্টাচার্যের তৃতীয় পুত্র রামভদ্র। বিষয়টি শুনতে পেয়ে নিজের পুত্রকে দুর্গামূর্তির সামনে বসে চণ্ডীপাঠ করার নির্দেশ দেন ক্ষুব্ধ পিতা রাঘবরাম। সেই মতো বাবার নির্দেশ অনুযায়ী নবমীর দিন মৃন্ময়ী দুর্গা মূর্তির সামনে চণ্ডীপাঠ শুরু করেন রাঘব-পুত্র। ঠিক তখনই ঘটে যায় অলৌকিক ঘটনা ! আশ্চর্যজনক ভাবে দক্ষিণমুখী দুর্গা মূর্তি সহসা দিক পরিবর্তন করে পশ্চিমমুখী হয়ে যায়।

এবং রাঘবরামের পুত্র রামভদ্রের সম্মুখে চলে আসে। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে মা দুর্গার গাত্রবর্ণও পরিবর্তন হয়ে অতসী বর্ণের বদলে টকটকে রক্তবর্ণে পরিণত হয়। এই ইতিহাস জানালেন ভট্টাচার্য পরিবারের একাদশতম সদস্য কুমারনাথ ভট্টাচার্য।পরিবারের সেই রীতিনীতি মেনে ও অলৌকিকতার ওপর অগাধ বিশ্বাস ধরে রেখে আজও প্রতিবছর নিষ্ঠার সঙ্গে লালদুর্গার আরাধনা করে চলেছেন ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা। সারা বছর বাইরে থাকলেও পুজোর কটা দিন পরিবারের সকল সদস্য এসে পৌঁছন নবদ্বীপের যোগনাথতলার ভট্টাচার্য বাড়িতে। পুজোর যাবতীয় ক্রিয়াকর্ম নিজ হাতে করেন পরিবারের সকলে মিলে।

Free Access