ad
ad

Breaking News

দুয়ারে সরকার

‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে বামেরা! পরিষেবা নিতে আসা মানুষকে সাহায্য

Bangla Jago Desk: নিজের প্রয়োজনে মানুষকে সরকারের কাছে যেতে হবে না। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে মানুষের দরবারে। এই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় রাজ্যে শুরু হয়েছিল দুয়ারে সরকার শিবির। সরকারি আধিকারিকরা পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে গিয়ে দিয়ে আসছেন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। শিবিরে মানুষ জানাচ্ছেন নিজেদের অভাব অভিযোগ। হয়ে যাচ্ছে তাৎক্ষণিক সমাধান। ২০২০ সালের ডিসেম্বর […]

Bangla Jago Desk: নিজের প্রয়োজনে মানুষকে সরকারের কাছে যেতে হবে না। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে মানুষের দরবারে। এই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় রাজ্যে শুরু হয়েছিল দুয়ারে সরকার শিবির। সরকারি আধিকারিকরা পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে গিয়ে দিয়ে আসছেন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। শিবিরে মানুষ জানাচ্ছেন নিজেদের অভাব অভিযোগ। হয়ে যাচ্ছে তাৎক্ষণিক সমাধান। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া এই দুয়ারে সরকার প্রকল্প ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।

অথচ এই দুয়ারে সরকার শিবিরকে কত সমালোচনা করা হয়েছিল। বিরোধীরা লাগাতারা নিশানা করে গিয়ে সরকারের এই উদ্যোগকে। এখন উল্টো ছবি। বিরোধীরা শুধু আর তারিফ করছে না, দুয়ারে সরকার শিবিরে আসা মানুষ নানা ভাবে সহযোগিতা করছে। মানুষের পাশে থাকতে বাড়িয়ে দিচ্ছে সাহায্যের হাত। অস্বীকার করতে পারছে না দুয়ারে সরকার শিবিরের প্রভাব। তাই দুয়ারে সরকার শিবিরে আসা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য ক্যাম্পে খুলেছে বাম নেতৃত্ব। এমনই ছবি দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার ব্লকের কুমোআড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। বুধবার কুমোআড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সপ্তম দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসেছে। সেখানে পরিষেবা গ্রহণের জন্য হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে এল বাম নেতৃত্ব। খুশি উপভোক্তারা।

সপ্তম পর্যায়ে ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হওয়া শিবির চলবে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে পরিষেবা প্রদান। সপ্তম পর্যায়ের এই কর্মসূচিতে এবার নতুন চারটি পরিষেবা যুক্ত করা হয়েছে। বার্ধক্য ভাতা, পরিযায়ী শ্রমিকদের নথিভুক্তিকরণ, উদ্যম পোর্টাল অর্থাৎ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটিরশিল্পের নথিভুক্তিকরণ, হস্তশিল্পী ও তাঁতশিল্পীদের তালিকা তৈরি করার কাজ হবে শিবিরগুলিতে। রাজ্যবাসীর কাছে সরকারি পরিষেবা আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প চালু হয়েছে গত তিন বছর আগে। প্রতি বছর দু’বার করে শিবির হয় আয়োজন করা হয়। এবারও পুজোর আগে একমাসব্যাপী শিবির চলবে রাজ্যে।