Bangla Jago Desk: দেবীপক্ষের সূচনায় শনিবার সকালে মহালয়া শুনতে ব্যস্ত ছিলেন অনেকেই।সেসময়ই সাঁকরাইলের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের একটি ভোজ্য তেলের গুদাম থেকে দাউ দাউ করে বেরোতে থাকে আগুন। প্রথমে গুদামের ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। ভোর সাড়ে ,৫টা নাগাদ,প্রথমে আগুন লাগে গুদামের ভিতরে, পরে বাইরেও সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।প্রায় ৫হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। স্থানীয়রা দেখেন, কারখানা থেকে বেরিয়ে আসে কুণ্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়া।
আগুনের ধোঁয়া দেখে ছুটে আসেন সাঁকরাইল থানা ও ডোমজুড় থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান, হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী । এক এক করে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় দমকলের একের পর এক ইঞ্জিন ।আগুনে বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বলে যায়। এর পর আরও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে গরম তেল। রাক্ষুসে আগুনের চেহারা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী থেকে কারখানার কর্মীরা।তাতে দমকলকর্মীদের আগুন নেভাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। সকালে যেসব কর্মী হাজির হন,তখন তাঁরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়।
পরে বিধ্বংসী আগুন দেখে ছুটে যায় দমকল কর্মীরা।১৮টি ইঞ্জিন পুরোপুরি আগুন আয়ত্তে আনে। জুলাই মাসে হাওড়ার মঙ্গলাহাটে আগুন লেগেছিল।আবার সাঁকরাইলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশ্ন ওঠে অগ্নিনির্বাপণের উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল কিনা ? সেই ঘটনায় প্রশাসনের মতোই জনপ্রতিনিধিরাও জোর দেন,জীবন-সম্পত্তি হানির ভয়ঙ্কর ঘটনায় দাঁড়ি টানতে আগুন নেভানোর কাজে বেশি জোর দেওয়া হবে।অগ্নিকাণ্ডের জেরে কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা।কী কারণে আগুন লেগেছিল তা খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান করতে তত্পর দমকল দফতর।
Free Access