ছবিঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : ক্ষমতা বন্টনের সূত্র বের করতে বিজেপি-জেডিইউ ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে।নীতীশকুমার এনডিএ-র বৈঠকে নরেন্দ্র মোদিকে সর্বসম্মত নেতা বলে মেনে নিয়েছেন।জানিয়েছেন জেডিইউ বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে যাবে।আর এর পাশাপাশি নীতীশ কুমার বিহারের ক্ষমতা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চান বলে নানা মহলে আভাস দিচ্ছেন।সেজন্য তিনি আগামী বছরের নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছেন।বিধানসভা ভোটে জোট রাখতে বিজেপিও নীতীশকুমারকে এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলে আগাম ঘোষণা করে দিয়েছে। এই হাত ধরাধরির মাঝে বোমা ফাটান জেডিইউয়ের কেসি ত্যাগী। তিনি দাবি, করেন ইন্ডিয়া জোটের তরফে নীতীশকুমারকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা।
এবার কেসিত্যাগীর প্রস্তাব উড়িয়ে দিলেন জেডিইউয়ের সাংসদ সঞ্জয় ঝা। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে এই ধরণের কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বলে জানিয়ে দিয়েছেন সঞ্জয় ঝা।তাঁর স্পষ্ট কথা,দলের কাছে এরকম কোনও তথ্য নেই।নীতীশকুমার নিজেও এই প্রস্তাব পাননি বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।এই অবস্থায় ইন্ডিয়া জোট কেন্দ্রের শাসক শিবিরের শরিকদের সমীকরণের দিকে নজর রাখছে। ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন,এনডিএ জোট স্বার্থের ওপর গড়ে উঠেছে।আসলে এই সরকারের কোনও বৃহত্তর উদ্দেশ্য নেই।তাই ইন্ডিয়া জোট, ওয়েট অ্যাণ্ড ওয়াচ নীতি নিয়ে চলতে চায়।তাই মোদি সরকার গঠনের পর এনডিএ-র সংসারে কলহ বাঁধলে তার পুরোমাত্রায় কাজে লাগাতে বিরোধীরা যে কুণ্ঠা করবে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইন্ডিয়া শিবিরের নেতারা।তাই নীতীশকুমার আবার ডিগবাজি খান কিনা,বিহারের ভোটের পর,সেটাই সবথেকে বড় লক্ষ্যণীয় বিষয়।একাধিকবার দলবদলে রেকর্ড গড়া নীতীশ এবার কোন পথে হাঁটতে চান তার দিকে তাকিয়ে জাতীয় রাজনীতির পর্যবেক্ষকরাও।