ad
ad

Breaking News

কৃষ্ণনগর

রেলের জমিতে অবৈধ বসত বাড়ি! উচ্ছেদ অভিযানে রেল কর্তৃপক্ষ

Bangla Jago Desk:কিছুদিন আগে পর্যন্ত শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত চালু ছিল ন্যারোগেজ রেল পরিষেবা। ২০১০ সালের শুরুতে ওই ন্যারোগেজ লাইন ব্রডগেজ করার প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। সেইসময় রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রকল্প অনুযায়ী ওই বছরই জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে ন্যারোগেজে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। তারপর শুরু হয় শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর ও কৃষ্ণনগর […]

Bangla Jago Desk:কিছুদিন আগে পর্যন্ত শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত চালু ছিল ন্যারোগেজ রেল পরিষেবা। ২০১০ সালের শুরুতে ওই ন্যারোগেজ লাইন ব্রডগেজ করার প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। সেইসময় রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রকল্প অনুযায়ী ওই বছরই জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে ন্যারোগেজে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। তারপর শুরু হয় শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর ও কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন পাতার কাজ। শান্তিপুর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটার ব্রডগেজ লাইনের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল। সেইমতো শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের কাজ হয়।

অথচ জমিজটের কারণে কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত লাইন পাতার কাজ আমঘাটা পর্যন্ত হয়েই থমকে যায়। রেলের জমিতে গজিয়ে ওঠে দোকান ও বসতবাড়ি। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর সংলগ্ন এলাকায় সেই দোকান ও বসতবাড়ি উচ্ছেদের কাজ শুরু করল রেল দফতর। স্থানীয় কোতোয়ালি থানার পুলিশের সহযোগিতায় কৃষ্ণনগর রোড স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদের কাজ শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। তার আগে সবকিছু সরিয়ে নেওয়া জন্য পুলিশের তরফে মাইকিং করা হয়।এলাকাবাসীদের স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে ব্রডগেজ লাইনে রেল পরিষেবা চালু হওয়া ছাড়াও কৃষ্ণনগর রোড স্টেশনে একটি স্টেশন তৈরি করা হবে।

পুনর্বাসন সহ আরও কিছু দাবিতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে আবেদন জানানো হয় রেল কর্তৃপক্ষকে। এই লাইন চালু হওয়া নিয়ে এলাকাবাসীর কোনও আপত্তি নেই।শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর ও নবদ্বীপ হল নদিয়া জেলার অন্যতম তিন দর্শনীয় স্থান। এই তিন জায়গা আগে ন্যারোগেজ রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল। সেখানে মিটার গেজ চালু করার জন্য বন্ধ করা হয় ন্যারো গেজ লাইন। কিন্তু দশ বছর ধরে এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জমি জটের কারণে থমকে থাকা প্রকল্প এবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হল।