Bangla Jago Desk: মাস্টার ব্লাস্টার কে বিশেষ সম্মান আইসিসির। আসন্ন বিশ্বকাপের গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর হলেন শচীন তেন্ডুলকার। তিনি হাজির থাকবেন আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। ৫ অক্টোবর আইসিসি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আমেদাবাদে ইংল্যান্ড খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচের আগেই কাপ হাতে মাঠে আসবেন সচিন। বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করতে।সচিন বর্ণময় কেরিয়ারে ৬টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ১৯৯২, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালে। বিশ্বকাপ হাতে ধরার স্বপ্নপূরণ হয় শেষ বিশ্বকাপে এসে। সেবারই শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সচিনের শেষ বিশ্বকাপে তাঁর হাতে কাপ তুলে ধরার প্রত্যয় নিয়েই নেমেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। সচিনও ছিলেন ভালো ছন্দে।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো কয়েকজন যে এবারই শেষবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে ভারতীয় দল নিশ্চিতভাবেই ১২ বছর আগের মতো এই সিনিয়রদের হাতে কাপ তুলে দিতে প্রত্যয়ী থাকবে। সেটা সম্ভব হলে ২০১৩ সালের পর এই প্রথম কোনও আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত। আইসিসি জানিয়েছে, বিশ্বকাপের গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড শুরুর আগে সচিন ট্রফি হাতে এসে বিশ্বকাপ শুরুর বার্তা দেবেন। সচিনের কথায়, ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে বল বয় ছিলেন। এরপর ৬টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ফলে বিশ্বকাপ সব সময়ই তার হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গায় রয়েছে। তার ক্রিকেটীয় সফরে সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত এগারোর বিশ্বকাপ জয়।ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ এক অসাধারণ টুর্নামেন্ট হবে বলেও আশাবাদী মাস্টার ব্লাস্টার।
এই বিশ্বকাপ খুদে ছেলে-মেয়েদের ক্রিকেট খেলায় অনুপ্রাণিত করবে, তাঁর মতো অনেকেই বিশ্বকাপ দেখে ক্রিকেটের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে বলে আশা সচিনের। এবারের বিশ্বকাপে আইসিসি অ্যাম্বাসাডর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডিভিলিয়ার্স, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান, অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ, শ্রীলঙ্কার মুথাইয়া মুরলীধরন, নিউজিল্যান্ডের রস টেলর, ভারতের সুরেশ রায়না ও মিতালি রাজ এবং পাকিস্তানের মহম্মদ হাফিজের নাম ঘোষিত হয়েছে।এঁরা বিশ্বকাপের বিভিন্ন ম্যাচে বিভিন্ন স্টেডিয়ামে থাকবেন। ক্রিকেটপ্রেমীদের আকৃষ্ট করতে ভূমিকা পালন করবেন, তাঁদের সঙ্গে মিলিত হবেন। এ ছাড়া আইসিসি অনলাইন মিডিয়া জোনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণও শোনা যাবে এই প্রাক্তনদের কাছ থেকে। আইসিসি এবারের বিশ্বকাপকে সবচেয়ে বড় বলে আখ্যায়িত করছে। তাঁরই গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর সচিন।
Free Access