Bangla Jago Desk: ২০১৯-এর বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল এবং ২০২২-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের বদলা সুদে-আসলে নিলেন টিম ইন্ডিয়া। রবিবাসরীয় রাতে লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের ঘরওয়াপসি টিকিট কেটে দিল রোহিত শর্মারা। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ছ’টি ম্যাচ জিতে অপ্রতিরোধ্য ভারত। সৌজন্যে মহম্মদ শামি এবং জসপ্রীত বুমরাহদের তুখর বোলিং।
রবিবার টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা এবং সুর্যকুমার যাদবের ভরসাযোগ্য ব্যাটিং খুব একটা সুবিধাজনক স্কোর করতে পারেনি ইন্ডিয়ান ব্যাটররা। শুধুমাত্র রোহিত শর্মার(৮৭), কেএল রাহুল(৩৯) এবং সুর্যকুমার যাদব(৪৯)-এর রানের সাহায্যে ২৩০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় বাটলারদের। অনেকেই ভেবেছিলেন এই রান ইংল্যান্ড খুব সহজেই তুলে নেবে।
কিন্তু মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ এবং কুলদীপ যাদবের বোলিংয়ের কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল ইংল্যান্ড। চেজ করতে নেমে একটা সময় দুই ওপেনার দাউইদ মালান ও জনি বেয়ারস্টো দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন। মাত্র ৪.৪ ওভারেই উঠে যায় ৩০ রান। মনে হচ্ছিল এই প্রথমবার ভারত হারের মুখ দেখতে পারে। কিন্তু পিকচার অভি বাকি থে। ৪ ওভারের বাকি দুই বলে বিপক্ষকে জোড়া ধাক্কা দেন ‘বুম বুম বুমরাহ’। মালানকে বোল্ড করার পরের বলেই জো রুট লেগ বিফোর আউট হন। এই ম্যাচেই বিরাট ‘০’ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। তবে এবার ‘ফ্যাব ফাইভ’-এর আর মেম্বার রুটের নামের পাশে ‘গোল্ডেন ডাক’ লেখা রইল।
তারপর থেকেই ইংরেজদের পতনের সূত্রপাত। বুমরাহের পাশাপাশি আগুন বোলিং শুরু করলেন শামিও। তাঁর পেসের আঁচে উড়ে গেল বেন স্টোকস ও বেয়ারস্টোর স্টাম্প। রেহাই পেলেন না মইন আলি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ৫৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন শামি। এদিনও তিনি বিপক্ষের ব্যাটারদের ঘুম কেড়ে নিলেন। এর মধ্যে ইংরেজদের কফিনে শেষ পেড়েক পুঁতলেন কুলদীপ। অধিনায়ক বাটলারের স্টাম্প যেভাবে তিনি উড়িয়ে দিলেন, সেটা নিঃসন্দেহে ‘বল অফ দ্য ডে’। এরসঙ্গে আর ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের কিছুই বাকি ছিল না। বাকি কাজটা সারলেন রবীন্দ্র জাদেজা।
Free Access