ad
ad

Breaking News

উত্তর সিকিম

পুজোর মুখে বড় ধাক্কা! লোকসানের মুখে সিকিমের ব্যবসাদারা

Bengla Jago Desk: প্রকৃতির রোষে তছনছ হয়ে গেছে সিকিমের একাংশ। মেঘভাঙা বৃষ্টি  আর হড়পা বানে  কার্যতঃ উত্তর সিকিম বিপর্যস্ত।ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে তিস্তা। ২৩জনের কাছে জওয়ান এই তাণ্ডবে নিখোঁজ হয়ে যান। নিখোঁজ হয়ে যান রায়গঞ্জের দুই বাসিন্দাও। আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতে সিকিম সমতল থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত সিকিমে  প্রায় ২হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। তাঁদের পরিজনরা […]

Bengla Jago Desk: প্রকৃতির রোষে তছনছ হয়ে গেছে সিকিমের একাংশ। মেঘভাঙা বৃষ্টি  আর হড়পা বানে  কার্যতঃ উত্তর সিকিম বিপর্যস্ত।ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে তিস্তা। ২৩জনের কাছে জওয়ান এই তাণ্ডবে নিখোঁজ হয়ে যান। নিখোঁজ হয়ে যান রায়গঞ্জের দুই বাসিন্দাও। আবহাওয়ার বিরূপ পরিস্থিতিতে সিকিম সমতল থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত সিকিমে  প্রায় ২হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। তাঁদের পরিজনরা এই আপত্কালীন পরিস্থিতিতে বেশ উদ্বিগ্ন। বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলার প্রশাসন সিকিমে আটকে পড়া মানুষজনদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।এরমাঝে ব্যবসায় ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কায় পর্যটনের কারবারীরা।গত বছর, ছাঙ্গু লেকে এবং বাবা মন্দিরে যাওয়ার জন্য অনুমতি নিয়েছিল ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৫৮টি গাড়ি।

পর্যটক গিয়েছিলেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৩ জন। উত্তর সিকিমের ইয়ামথাং এবং গুরুদংমার লেক এলাকায় ৭১ হাজার ৭৫৮টি গাড়িতে গিয়েছিলেন ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৮ জন পর্যটক।যার বেশিরভাগই বাঙালি পর্যটক।এবার সেই সংখ্যাটা ধাক্কা খেতে পারে।গত ৩মাস চুটিয়ে ব্যবসার পর পুজোর মুখে ভ্রমণপিপাসুদের যে ঢল নামে তাতে ভাটা পড়ার সম্ভাবনা।কারণ বাংলার সঙ্গে সিকিমের সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা ফাঁপরে পড়েছেন।কারণ সিকিম আর শিলিগুড়ির চলাচলকারী সমস্ত বাস পরিষেবা থমকে গেছে।সিকিম সরকার আপত্কালীন পরিস্থিতি একথা ঘোষণা করেছে।

জানা গিয়েছে প্রতিদিন শিলিগুড়ির SNT বাস টার্মিনাস থেকে গড়ে প্রায় ৩০ টি বাস চলাচল করে, কিন্তু বুধবার সকাল থেকে সেই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার ফলে আটকে পড়েছে সিকিমগামী পর্যটকেরা।আটকে রয়েছেন এরাজ্যের মানুষ।সবাইকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরানোর তত্পরতা জারি আছে।কিন্তু যাঁরা পুজোর সময় ব্যবসা করেন তাঁরা বলছেন,এভাবে ব্যবসা মার খেলে হাত ভরবে কিভাবে  ? কিভাবে অর্থের লেনদেন বাড়বে।তাই পাহাড় ও সমতলের মানুষকে বেড়াতে নিয়ে  গিয়ে যাঁরা   লাভের মুখ দেখেন তাঁরাই এখন লক্ষ্ণীলাভ না হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। গাড়ির মালিক থেকে পর্যটন সংস্থা সবাই চাইছেন,দুর্যোগের ঘনঘটা কেটে স্বাভাবিক হোক পরিস্থিতি।না হলে তাঁদের আয়-উপার্জনে ধাক্কা লাগবে। বেড়াতে ইচ্ছুক এরকম মানুষরাও এই আশ্বিনে আষাঢ়-শ্রাবণের বর্ষণধারা দেখে মন খারাপ করছেন।

Free Access