ছবিঃ সংগৃহীত
Bangla Jago Desk: মণিপুরের জিবিরাম জেলায় উত্তেজনার কারণে ক্রমশ সেখানের পার্শ্ববর্তী জেলা গুলিতেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এবং সূত্রের খবর এই ঘটনাটির জন্য এখনও পর্যন্ত মোট ২০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যার কারণে নিরাপত্তা বাহিনীকে অসমের পার্শ্ববর্তী কাছাড় জেলাকেও উচ্চ সতর্কতা বলয়ে রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন অসমের লখিপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই বলেছেন, যে কাছারে ইতিমধ্যেই ১০০০ জনেরও বেশি আশ্রয় ছেয়েছেন এবং এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই অনুমান। তিনি আরও বলেন যে, যারা আশ্রয় চাইছেন তাঁরা মূলত বেশিরভাগই কুকি এবং হামারস অর্থাৎ উভয়ই বৃহৎ জো উপজাতির অংশ।
এদিন বিধায়ক আরও জানান, “আমরা, ডিসি এবং এসপির সাথে , সোমবার লখিপুরে বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সংগঠনের সাথে একটি বৈঠক করেছি যাতে মণিপুরের ফ্লেয়ারআপ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার উপর জোর দেওয়া হয়। আমাদের এখানে খুব বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যা রয়েছে – বাঙালি, হিন্দিভাষী, বাঙালি এবং মণিপুরি মুসলমান, বিহারী, ডিমাসাস, হমার, কুকি, খাসি এবং রোংমেই, অন্যান্যদের মধ্যে। এমন লোক আছে যারা এখানে আশ্রয় চেয়েছে কিন্তু যাই ঘটুক না কেন, আসামকে প্রভাবিত করা উচিত নয়।”
তবে কাছারের এসপি নুমাল মাহাত্তা কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তাঁরা লখিপুর মহকুমায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছেন এবং সেখানে বিশেষ কমান্ডো মোতায়েনও করা হয়েছে।
জিবিরামের একজন বাসিন্দাকে এক্ষেত্রে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথমেই তাঁর পরিচয় দিতে চাননি, এবং এখন কাছাড়ের হামারখাওলিয়ান গ্রামে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন এই অশান্তির কারণে ৬ তারিখ জিরি নদী নৌকা করে পার হয়ে পালিয়ে আসেন। এবং তিনি এও জানান, “এখন এখানে প্রায় 400 জন লোক রয়েছে। আমরা জানি না কখন আমাদের পক্ষে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে।”
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত, ৯১৮ জন মানুষ জিরিবাম জেলার মধ্যে স্থাপিত ছয়টি ত্রাণ শিবিরে অবস্থান করছে, স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং স্কুলে আশ্রয় চাইছে। এই স কল বাস্তুচ্যুতরা মূলত মেইটিস যাদের ৮ জুন বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এদেরই মধ্যে একজন মধুপুরের সুবিতা ওকরাম। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা বৃহস্পতিবারই আমাদের গ্রাম ছেড়েছিলাম কারণ আমরা শুনেছিলাম যে জঙ্গিরা গ্রাম ঘিরে রেখেছে, আমরা বড়বেকরা থানায় আশ্রয় চেয়েছিলাম। কিন্তু এর পরে, আমরা খবর পেয়েছি যে আমাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে এবং আমাদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন, আমরা জানি না আমরা ফিরে যেতে পারব কিনা।”