ছবি : সংগৃহীত
Bangla Jago Desk : নাবালিকাকে ধর্ষণের কারণে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লি কোর্ট। এদিন জানা গিয়েছে ২০১৫ সালে যখন মেয়েটির বয়স ১৪ বছর ছিল তখন তাঁকে ধর্ষণ করে সেই অভিযুক্ত। এবং জানা গিয়েছিল ঘটনাটির জেরে মেয়েটি সেই সময় গর্ভবতী হয়ে যায়। তবে নির্দিষ্ট তথ্য যেমন, ডিএনএ এর রিপোর্ট থাকার জন্য এদিন তাঁকে এই অভিযুক্তে যুক্ত করা হয়।
আদালত অভিযুক্তের সাথে স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কারণে গর্ভবতী হওয়া এবং পরে সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়ে মেয়েটির “সামঞ্জস্যপূর্ণ” এবং “নির্ভরযোগ্য” বিবৃতি পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর ভিত্তিতেই এদিন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমিত সাহরাওয়াত সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানি করছিলেন, যাকে ধর্ষণের শাস্তিমূলক বিধান এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনের ধারা ৬ (উত্তেজক অনুপ্রবেশমূলক যৌন নির্যাতন) এর অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
তবে যেহুতু নাবালিকাটির সঙ্গে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ঘটনাটি ঘটে, এবং তাই বয়ানের ভিত্তিতে হলেও আদালত সেটি মানতে নারাজ ছিল। ছোট বেলায় দেওয়া বয়ান হলেও, এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়লেও এটিকে অপরাধ নলে আখ্যা দেওয়া হল। এবং তাঁর সেই সময়ের বয়ান কে গুরুত্ব না দিয়েই দোষী সাব্যস্ত কড়ল আদালত। কারণ যে অবস্থায় কিংবা বয়সে তাঁর সঙ্গে ঘটনাটি ঘটে সেই সময় তাঁর ১৮ বছরের কম বয়সী হওয়ার কারণেই ভিকটিমের বয়ান’কে কেন্দ্র করেই আদালত বলে, “এইভাবে যদি কোনও নাবালিকা মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, তবে এটি ধর্ষণ এবং অনুপ্রবেশমূলক যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞা।“