ad
ad

Breaking News

কার্জন গেট

বাংলাজুড়ে এমন অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে! বর্ধমান শহরের কার্জন গেট এমনই একটি নিদর্শন

Bengla Jago Desk: বাংলাজুড়ে এমন অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে, যা দেখলে বাংলার নিজস্ব ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়। বর্ধমান শহরের কার্জন গেট এমনই একটি নিদর্শন।কার্জন গেট নামে একটি তোরণটি শতাব্দীপ্রাচীন। গ্র্যান্ড ট্যাঙ্ক রোড থেকে বিজয়চাঁদ রোডে প্রবেশের মুখে এই তোরণটি অবস্থিত।বিজয়চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে ১৯০৩ সালে এই তোরণ নির্মিত হয়। এরপর ১৯০৪ সালে সেইসময়ের […]

Bengla Jago Desk: বাংলাজুড়ে এমন অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে, যা দেখলে বাংলার নিজস্ব ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়। বর্ধমান শহরের কার্জন গেট এমনই একটি নিদর্শন।কার্জন গেট নামে একটি তোরণটি শতাব্দীপ্রাচীন। গ্র্যান্ড ট্যাঙ্ক রোড থেকে বিজয়চাঁদ রোডে প্রবেশের মুখে এই তোরণটি অবস্থিত।বিজয়চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে ১৯০৩ সালে এই তোরণ নির্মিত হয়। এরপর ১৯০৪ সালে সেইসময়ের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের বর্ধমান সফরের সময়ে তোরণের নামকরণ করা হয় কার্জন গেট হিসেবে।

১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনের পরে এই তোরণটির বিজয় তোরণ হিসেবে পরিচিত।তোরণটি ৬৫ ফুট উঁচু। তোরণ তৈরির দায়িত্বে দেওয়া হয়েছিল ম্যাকিনতোশ বার্ন কোম্পানিকে। তোরণের ডিজাইন করেছিলেন ইউরোপিয়ান প্রযুক্তবিদরা।স্থাপত্য সম্পর্কে যাঁদের আগ্রহ আছে, তাঁদের উদ্দেশে জানাই, এই তোরণ পুরোপুরিভাবে ইউরোপিয় স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি।কয়েক বছর আগে বিজয় তোরণের সংস্কার করা হয়েছে। তোরণটি দেখভালের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।

পুরাতত্ত্ব নিয়ে যাঁদের আগ্রহ আছে, তাঁরা বিজয় তোরণ দর্শন করলে ভাবনাচিন্তার খোরাক নিশ্চিতভাবে পাবেন।মহারাজা বিজয়চাঁদ এই গেটের নামকরণ করেছিলেন স্টার অফ ইন্ডিয়া। তবে স্বাধীনতার পরে কার্জন গেটের নাম পাল্টে বিজয় তোরণ রাখা হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এই তোরণটি আজও কার্জন গেট হিসেবেই পরিচিত।বর্ধমানের মানুষের আবেগের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে বিজয় তোরণের ইতিহাস ও বর্তমান।

Free Access