Bengla Jago Desk: পাহাড় দেখতে পছন্দ করেন? মাঝেমধ্যেই আপনার মনকে পাহাড় ডাকে বুঝি? ভেবে দেখুন তো এই পাহাড় আর বৃষ্টি যদি একসাথে থাকে? কেমন হয় ব্যাপারটা? পাহাড়ে বৃষ্টি। যদিও পাহাড়ের বৃষ্টি খানিকটা ভয় পান মানুষ। তাহলে ভারী বৃষ্টি জায়গায় মনে করুন হালকা বৃষ্টি। ঝিরঝিরি বৃষ্টির মধ্যে আপনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাহাড়ে। যাই বলুন পাহাড়ের বৃষ্টিতে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। এবার বৃষ্টিভেজা পাহাড়ে ঘুরতে যেতে যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য রইল দারুণ একটি অফবিট জায়গার খোঁজ। আর সেটি হলো মুনথুম ভ্যালি। এই ভ্যালিটি কালিম্পং থেকে মাত্র ১৪ কিলেমিটার দূরে এই মুনথুম ভ্যালি। একটা কথা একেবারে ১০০% বলা যায় যে একেবারে কমবাজেটে বেড়ানোর অন্যতম সেরা অফ বিট ডেস্টিনেশন এটি। আবার উত্তরবঙ্গেরও একেবারে অফবিট জায়গা বললে ভুল হবে না।
এটি আদতে পাহাড়ের কোলে বেড়ে ওঠা ঝকঝকে ছোট্ট একটা গ্রাম। আপনি দেখলেই বুঝতে পারবেন খুব বেশি হলে ১০ থেকে ১২ টি ঘরের বাস সেখানে। একেবারে শান্ত, নিঝুম পরিবেশ। এই পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে গিয়েছে যা চকচকে পরিষ্কার রাস্তা। এই কালো পিচের রাস্তা এঁকে বেঁকে ঢুকে গিয়েছে মুনথুম ভ্যালির মধ্য দিয়ে। পাহাড়, জঙ্গল, ঝরনা, সঙ্গে পাখি বলা যায় নৈসর্গিক পাহাড়ে মেঘেদের আনাগোনা দেখা যাবে। তবে জানেন কি মুনথুম শব্দের একটা আলাদা অর্থ রয়েছে। পাহাড়ি ভাষায় এই মুনথুম শব্দের অর্থ চাঁদের আলো বা জ্যোৎস্না। শহরের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে পালিয়ে এই ছোট গ্রামে বেশ কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে আসুন।
পাহাড়ের কোলে মেঘেদের খেলা সেখানে বেশ কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন। একেবারে সমস্ত চিন্তা মুক্তি করতে পারে এই দৃশ্য। বলা বাহুল্য যে অদ্ভুত শান্তি এখানে পাওয়া যায়। কলকাতার বর্ষাতে জলে কাদায় বিরক্ত হলেও বর্ষা এখানে বেশ মনোরম হয়ে ওঠে। এক কথায় অসাধারণ সুন্দর একটা জায়গা। এখানে বেড়াতে আসলে আপনি দুপুরে লাঞ্চ সেরে বেড়িয়ে পড়তে পারেন মুনথুমের রাস্তায়। এখানে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে এনজেপি বা বাগডোগরা বিমানবন্দরে যেতে হবে। সেখান থেকে সড়ক পথ ধরে ২৯ মাইল গেলেই সোজা মুনথুম। অথবা ঘুরপথে কালিম্পং হয়েও পৌঁছনো যাবে।
Free Access