Bengla Jago Desk: ভ্রমণ পিপাসু বাঙ্গালিরা সর্বদায় চান উইকেন্ড আসলেই কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে যেতে। এইরকমই এক জায়গার খোঁজ পাওয়া গেল ব্যারাকপুরে । পার্কের ভিতর সবুজ মনোরম পরিবেশ ও পাশ দিয়ে বয়ে চলা ফুরফুরে গঙ্গার হাওয়া খেতে হলে অবশ্য ঘুরে আসতে হবে ব্যারাকপুরের জওহরকুঞ্জ থেকে।উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরে হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত জওহরকুঞ্জ পার্ক। গান্ধী ঘাটের ঠিক পাশেই রয়েছে এই ঘাট। ছোট বড় গাছের সমাহারে সজ্জিত এই পার্ক। পার্কের ভিতর পুরো ফুল দিয়ে সাজানো। পাশ দিয়ে বয়ে চলা হুগলী নদীর মনোরম দৃশ্য দেখলে আপনি বারবার চায়বেন এই জাইগায় ফিরে যেতে। পার্কের ভিতরের রাস্তা উঁচু নিচু যাতে এই রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় পর্যটকদের মনে হয় তারা কোন পাহাড়ি রাস্তা ধরে হাঁটছে।
পরিবার বা বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শহরের ব্যস্ত কোলাহল ছেড়ে এই নিরিবিলি পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে পারবেন। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই পার্ক। বয়স্ক এবং বাচ্চাদের জন্য আলাদা প্রবেশ মূল্য রয়েছে। পার্কের ভিতরে নদীর ধারে রয়েছে কতগুলি বসার জায়গা। বসার জায়গা থেকে হরেক রঙের পাখি দেখা যায় । এছাড়াও এই পার্কের কাছেই রয়েছে অন্নপূর্ণা মন্দির। এই মন্দির অবিকল দেখতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মত কিন্তু আসল দক্ষিণেশ্বর মন্দির চায়তে এই মন্দির আকারে ছোট। পার্কের পথ ধরে কিছুটা এগোলেই পড়বে শিশু উদ্যান।
এছাড়াও এখানে দেখার মত রয়েছে আরও কয়েকটি জায়গা যেমন মঙ্গল পান্ডে পার্ক, বার্থলমিউ ক্যাথেড্রাল, গান্ধী ঘাট, জগন্নাথ মন্দির ইত্যাদি। কিভাবে যাবেন ? শিয়ালদা স্টেশন থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যান ব্যারাকপুর। সেখান থেকে টোটো করে পৌঁছে যান জওহরকুঞ্জ। এছাড়াও চাইলে নিজের পার্সোনাল গাড়ি করেও ঘুরতে আসতে পারেন এই পার্কে। জওহরকুঞ্জ আসলে রাত্রে থাকার কোন প্রয়োজন পড়েনা, একদিনে এসে একদিনেই ফিরে যেতে পারেন আপনি। তাই এবারের উইকেন্ডে ঘুরে আসুন জওহরকুঞ্জ থেকে।
Free Access