ad
ad

Breaking News

ফ্রেজারগঞ্জ

রুপোলী সমুদ্রসৈকত ফ্রেজারগঞ্জ

Bengla Jago desk: সমুদ্রে যেতে চান? তবে দিঘার ঘিঞ্জি পরিবেশে আর যেতে চায়ছেন না , তাহলে এবার ঘুরে আসুন সুন্দরবন অঞ্চলের ফ্রেজারগঞ্জ সমুদ্রসৈকত থেকে। ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই রুপোলী সমুদ্রসৈকত। এই সমুদ্রসৈকত থেকে সূর্যোদয় দেখার অনুভূতিটাই অন্যরকম। বকখালি সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩ কিমি দূরে রয়েছে সাদা বালির বিস্তীর্ণ  ফ্রেজারগঞ্জ সৈকত। বেশ নির্জন এই সমুদ্র […]

Bengla Jago desk: সমুদ্রে যেতে চান? তবে দিঘার ঘিঞ্জি পরিবেশে আর যেতে চায়ছেন না , তাহলে এবার ঘুরে আসুন সুন্দরবন অঞ্চলের ফ্রেজারগঞ্জ সমুদ্রসৈকত থেকে। ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই রুপোলী সমুদ্রসৈকত। এই সমুদ্রসৈকত থেকে সূর্যোদয় দেখার অনুভূতিটাই অন্যরকম। বকখালি সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩ কিমি দূরে রয়েছে সাদা বালির বিস্তীর্ণ  ফ্রেজারগঞ্জ সৈকত। বেশ নির্জন এই সমুদ্র সৈকত। সৈকতের ধার বরাবর ভোর বেলা বা বিকেল বেলা হাঁটলে উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের ধারের ফুরফুরে বাতাস। বিকেল বেলা এই নির্জন সমুদ্রের ধারে বসে থাকলে মনে হবে আপনার সব ক্লান্তি সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে ভেসে চলে যাচ্ছে। তবে নির্জন হলেও সমুদ্রের ধারে মাছ ভাজার অভাব হবেনা । এছাড়াও সমুদ্রের ধারে মিলবে চা, কফি, ফুচকা, ঝালমুড়ির ছোট ছোট গুমটি।

পাড়ে বসে দেখতে পাবেন ছোট বড় নানা আকারের কাঁকড়া। পরিযায়ী পাখি দেখার সেরা ঠিকানা ফ্রেজারগঞ্জ। সামুদ্রিক ঈগল থেকে কালচে মাথার মাছরাঙা, নানা ধরনের রঙ-বেরঙের পাখির দেখা মিলবে এই ফ্রেজারগঞ্জে। সৈকত থেকে ৫ কিমি দূরে এগিয়ে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বনবিবির মন্দিরে। প্রায় ১০০ বছর আগে স্বাধীনতার পূর্বে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অ্যান্ডরু ফ্রেজার এই সমুদ্রসৈকত দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এই সমুদ্রসৈকতের ওপরেই তিনি একটি বাংলো তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে এই বাংলোর ধ্বংসাবশেষ সৈকতের চারপাশে দেখতে পাবেন।

অ্যান্ডরু ফ্রেজারের নাম অনুসারে এই সৈকতের নাম হয় ফ্রেজারগঞ্জ। কিভাবে যাবেন এই নিরিবিলি সমুদ্র সৈকতে ? শিয়ালদা স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যান নাম খানা আর সেখান থেকে টোটো হোক বা গাড়ি করে পৌঁছে যান  ফ্রেজারগঞ্জ সৈকতে। ফ্রেজারগঞ্জ সৈকত চায়তে বকখালি সমুদ্রসৈকত  বেশি জনপ্রিয় হওয়ায় হোটেলের সংখ্যা এখানে অনেক বেশি। ফ্রেজারগঞ্জে সারাদিন থেকে রাত্রে ফিরে আসুন বকখালিতে । সেখানে গিয়ে পেয়ে যাবেন হোটেল ডলফিন, সাগর বেলায়া গেস্ট হাউস যেখানে থাকার পাসাপাশি পাবেন সুস্বাদু খাবার দাওয়া।

Free Access