ছবিঃ ইউনিসেফ (UNICEF)
Bangla Jago Desk: বিশ্বস্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিবসের আগে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন(WHO)-র তরফ থেকে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য দিবস পালনের আগে বিশ্ব সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজের জানান, “সারাবিশ্বে প্রতিদিন ১.৬ মিলিয়ন মানুষ ভেজাল খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে”। প্রতিবছর ৭ জুন বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। পাশাপাশি ২০১৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এই বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস সম্পর্কে জন স্বাস্থ্যের জন্য সতর্ক থাকার কথা জানান। পাশাপাশি এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের থিম আয়োজন করা হয়, আর এই বছরের থিম হল ‘ অপ্রত্যাশিতের জন্য প্রস্তুতি নিন’ ।
আরও পড়ুনঃ United States: মার্কিনমুলুকে বিরল যৌন সংক্রমণের হদিস, চিন্তায় চিকিৎসক মহল
এছাড়াও প্রতিদিন “সারা বিশ্বে প্রায় ১.৬ মিলিয়ন মানুষ ভেজাল খাবার খাচ্ছে। আর এই ভেজাল খাবার খাওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে দাবি করেছেন সায়মা”। তিনি আরও জানান, আর এই অসুস্থ হওয়া ৪০ শতাংশ মানুষের বয়স পাঁচ বছরের কম শিশুদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। আর এই পাঁচ বছরের কম শিশুরই বেশি পরিমাণে ভেজাল ও অপুষ্টিকর খাদ্য খাচ্ছে যার কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে। সায়মা পাশাপাশি আরও জানান ভেজাল খাবারে উৎপাদন কমাতে হবে। কারণ এই ভেজাল খাবার কারণে মানুষের অসুস্থতার পরিমাণ বাড়ছে যার ফলে চিকিৎসার খরচ বাড়ছে। আর এই চিকিৎসার খরচ বাড়ার জন্য দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ঘরের বার্ষিক আয়ের প্রায় ১১০ বিলিয়ান ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ
নুন ছাড়া আলুনি রান্না করেছেন?, নো চিন্তা, অভিনব চামচের ছোঁয়ায় খাবারে বজায় থাকবে স্বাদ |
এছাড়াও একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভেজাল খাবার খাওয়ার দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আফ্রিকা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সুস্বাস্থ্যের মানুষ বসবাস করছে। এই অঞ্চলে প্রতিবছর প্রায় ১৫০ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়। পাশাপাশি তিনি আরও জানান গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু যা কিটপতঙ্গের সৃষ্টি করে এমন প্রকৃতিতে বিষাক্ত পদার্থ খুব সহজে মিশে যায় আর যার ফলে খাবারে ভেজালের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সায়মা বলেন, কি খাবার খাচ্ছি সেটি সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকা দরকার এছাড়াও সরকার কে সর্বদাই এই খাবার উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন থাকতে হবে পাশাপাশি জনগণকে সচেতন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও তিনি জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা জরুরি প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা ও নিয়মিত খাদ্য পরীক্ষা করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান।