ad
ad

Breaking News

আপনারা দেখতেই পাবেন, কী করতে করতে চলেছি: বিস্ফোরক রাজ্যপাল

বাংলা জাগো ডেস্ক: রাজ্য বনাম রাজভবনের সংঘাত কমার কোনও লক্ষন নেই। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শুক্রবারই সুর চড়িয়েছিলেন শিক্ষমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই শিক্ষমন্ত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি যে নিজের কৃতকর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যপাল।গত তিন মাস ধরে, ধাপে ধাপে সংঘাত বেড়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের […]

বাংলা জাগো ডেস্ক: রাজ্য বনাম রাজভবনের সংঘাত কমার কোনও লক্ষন নেই। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শুক্রবারই সুর চড়িয়েছিলেন শিক্ষমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই শিক্ষমন্ত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি যে নিজের কৃতকর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যপাল।গত তিন মাস ধরে, ধাপে ধাপে সংঘাত বেড়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্যসরকারের। শিক্ষদফতরের তরফে বারবার অভিযোগ তোলা হয়েছে, রাজ্যপাল শিক্ষ দফতরকে গুরুত্ব না দিয়েই একের পর এক স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছে।

রাজ্যসরকার আলোচনা করতে চাইলেও, প্রতিবারেই উপেক্ষা করা হচ্ছে। বেশ কিছু বিল বিধানসভায় পাস করানো হয়েছে, কিন্তু সেগুলিকে আটকে রেখে দিয়েছেন। এই বিবাদের মাত্রা ক্রমেই বাড়ছিল।শুক্রবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়ান শিক্ষামন্ত্রী ব্রত্য বসু। তিনি রাজ্যপালকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গেও তুলনা করেন। তার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই পাল্টা তোপ দাগলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘আমি যে কাজ করছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আপনারা দেখতে পাবেন, কী করতে চলেছি…’আর এই হুঁশিয়ারির পরেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। কী এমন পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি? শিক্ষমহলের ধারণা, তিনি এমন কিছু পদক্ষেপ করতে পারেন, যা হয়তো শিক্ষাদফতরকে বিপাকে ফেলতে পারে।

কিন্তু তিনি এমন কী পদক্ষেপ করবেন, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি।প্রসঙ্গত শুক্রবার রাজ্যপালের সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, এটা হয়ত সাময়িক খামখেয়ালিপনা। কিন্তু পুরোটাই তুঘলকীয়। ভেবেছিলাম, আলাউদ্দিন খলজি যেমন মাঝে মাঝে মৃগয়ায় যেতেন, সেরকম হবে। কিন্তু পুরোটাই যে মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো, সেটা আমি বুঝতে পারিনি।’এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যের ৩১ জন রেজিস্ট্রারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন ১২ জন। বাকি ১৯ জন অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৫জনকে শোকজ নোটিস জারি করে শিক্ষা দফতর। তারপরেই রাজ্যপালের এই হুঁশিয়ারি খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না শিক্ষমহল।