বিমান হামলা গাজা উপত্যকায়! মৃত ২৬০ শিশু–নারী নিহত

Bengla Jago Desk: গাজা উপত্যকায় নতুন করে ৫০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বিমান বাহিনী।মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইলি বিমান বাহিনী এই হামলা চালায় বলে জানিয়েছে। জানাগিয়েছে, ইসরাইলি বিমান বাহিনী আবাসিক ভবন, শিল্পকারখানা ও বেসামরিক বহুতল লক্ষ্য এই হামলা চালায়। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের হঠাৎ হামলার জবাবে গাজা গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযানে নেমেছে ইসরায়েল। শনিবার থেকে গাজায় বিরামহীন বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে শরণার্থীশিবিরও। বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে শিশু ও নারী থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ। মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪০ টি শিশু ও ১২০ জন নারী রয়েছেন।

অপরদিকে শনিবার থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যার অভিযোগ এনেছে মানবাধিকার সংগঠন। ইসরায়েলি বিমান হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া গাজার বিভিন্ন এলাকার ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছে সংগঠনটি। বিরামহীন বিমান হামলার বিষয়টি তুলে ধরে ইউরো-মেড মনিটর বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যার মাধ্যমে ফিলিস্তিন সশস্ত্র সংগঠনগুলোর ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আট সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া হগিয়েছে।

গাজায় বহুতল ভবনসহ আবাসিক ভবনের পাশাপাশি বিদ্যালয় ও জাতিসংঘ মিশন পরিচালিত ভবনেও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে গাজা শহরের ঠিক উত্তরে অবস্থিত জাবালিয়া আশ্রয়শিবিরে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। মুহূর্তে আশ্রয়শিবির পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। সংঘর্ষের চতুর্থ দিন ইসরায়েলের বিরামহীন বোমাবর্ষণের মধ্যে সকাল হয় গাজার বাসিন্দাদের। চারদিকে বিধ্বস্ত বহুতলের ধ্বংসস্তূপ। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার কোথাও নিরাপদ আশ্রয়ের জায়গা নেই। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাদ্ধ হচ্ছেন আবাসিকরা।’ গোলা, আগুন তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। গাজায় নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।’ বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। গাজায় অবরোধের জেরে খাবার, জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে আরও বেশি সমস্যায় পড়েছেন সাধাণ মানুষ।

Free Access