Bengla Jago Desk: বহু আফগান মানুষ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিলেন পাকিস্তানে। আবার অক্টোবরের গোড়াতেই ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। যে আগামী নভেম্বর মাস শুরুর আগেই নিজেদের দেশে ফেরত যেতে হবে আফগান নাগরিকদের। সেই চরম সময় সীমা এগিয়ে আসতে সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে পাকিস্তান প্রশাসন। সীমান্তে পাক সেনা এবং ফ্রন্টিয়ার কোর বাহিনীর বাড়তি মোতায়েন নজরে এসেছে। ফলতো আফগান বাসিন্দাদের মনে পাকিস্তান সেনার হাতে হেনস্থা হওয়ার একটা সম্ভাবনা কাজ করেছে। ফলে তারা নিজেদের দেশে ফেরার কাজ শুরু করেছেন।
পাক-আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার-পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তান প্রদেশের বিভিন্ন চেকপোস্টে আফগানিস্তানের মানুষ ও যানবাহনের দীর্ঘ সারি ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ সীমান্ত পেরিয়েছেন। অক্টোবরের গোড়ায় পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি একটি সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করে বলেছিলেন, “পাকিস্তানের মাটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের কোন জায়গা হবে না। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সকলকে পাকিস্তানের মাটি ছাড়তে হবে। তা না হলে প্রয়োজনে আমরা বল প্রয়োগের পথে হাঁটব”।
মনে করা হচ্ছে মূলত দুটি কারণে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। প্রথমত দেশের একেবারে বেহাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাড়তি ব্যয় বহন করার ক্ষমতা এখন আর পাকিস্তান সরকারের নেই। দ্বিতীয়ত, দেশে নিরাপত্তা সংক্রান্ত শংকর দেখা দিচ্ছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী মানব বোমা হামলা হয়। এই হামলার সঙ্গে আফগান শরণার্থীরা জড়িত আর থাকার বিভিন্ন প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। ভালো তো সময়সীমা শেষ হওয়ার একেবারে সাথে সাথেই আফগানিদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বন্দোবস্ত করছে পাকিস্তান সরকার।
Free Access