ad
ad

Breaking News

পান্তা আর কচু শাক

উমার প্রিয় ‘পান্তা ভাত আর কচু শাক’ বিসর্জনের পর থাকে না বিষাদের সুর

Bengla Jago Desk: বাপের বাড়ি থেকে দেবী যখন কৈলাসে মহাদেবের কাছে ফিরেছিলেন, তখন মহাদেব তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন বাপের বাড়ি থেকে কী খেয়ে এসেছো? উমা তখন জবাবে বলেছিলেন, ‘পান্তা আর কচু শাক’। সেই রীতি মেনেই বিসর্জনের পর টাকির পুবের বাড়িতে ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে পান্তা ভাত ও কচু শাকের ভোগের আয়োজন। বসিরহাটের সীমান্ত […]

Bengla Jago Desk: বাপের বাড়ি থেকে দেবী যখন কৈলাসে মহাদেবের কাছে ফিরেছিলেন, তখন মহাদেব তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন বাপের বাড়ি থেকে কী খেয়ে এসেছো? উমা তখন জবাবে বলেছিলেন, ‘পান্তা আর কচু শাক’। সেই রীতি মেনেই বিসর্জনের পর টাকির পুবের বাড়িতে ৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে পান্তা ভাত ও কচু শাকের ভোগের আয়োজন। বসিরহাটের সীমান্ত শহর টাকির অতি প্রাচীন এই পুবের বাড়ির পুজো। টাকির তৎকালীন জমিদার জগদ্বন্ধু রায় চৌধুরি এই পুজোর সূচনা করেন।

তারপর ইচ্ছামতি দিয়ে অনেক জল বয়ে গেলেও পুজোয় পাল্টায়নি কোনও রীতিনীতি। ষষ্ঠীর দিন নিয়ম মেনে বোধনের মধ্য দিয়ে মায়ের আগমন ঘটে এই পুবের বাড়িতে। দশমীতে শুরু হয় অন্য এক উৎসব। বংশ-পরম্পরায় ২৬ বেহারার কাঁধে চেপে মা যান ইছামতির রাজবাড়ির ঘাটে। যা রায়চৌধুরী পরিবারের নিজস্ব ঘাট বলে পরিচিত। সেখানেই  বিসর্জন হয়। রীতি রয়েছে যতক্ষণ না পর্যন্ত পূবের বাড়ির দেবীর বিসর্জন হবে, ততক্ষণ টাকি-হাসনাবাদ এলাকার কোনও পুজোর বিসর্জন হয় না। আর বিসর্জনের পালা মিটলেই শুরু হয় পান্তা ভাত আর কচু শাকের ভোগ।

দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই ভোগ খেতে।বিখ্যাত এই পুবের বাড়িতে অধিষ্ঠান রয়েছে দেবী দুর্গার। প্রায় ৩০০ বছরের নিয়ম রীতি মেনে সারা বছর নিত্যপুজোর মধ্য দিয়ে পুজো করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারও হাজার হাজার দর্শকের সমাগম হবে টাকির পুবের বাড়িতে। আর তার জন্যই মুখিয়ে রয়েছেন পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে টাকির বাসিন্দারা। পুজোর কটা দিন পুবের বাড়িকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখে বসিরহাট পুলিশ প্রশাসন।

Free Access