ছবিঃ সংগৃহীত
Bangla jago Desk: আম আদমির হেঁসেলে দামের আগুনের আঁচ লাগছে। আলু-পটলের মতোই বিনস-বেগুনেরও চড়া দর। দামের ঝাঁজে চোখে জল আসছে ক্রেতাদের। কী রকম পরিস্থিতি বাজারের ? কী বলছেন,ক্রেতা-বিক্রেতারা ? সেকথা জানতেই আমাদের ক্যামেরা পৌঁছে গিয়েছিল শহরের বাজারে।দেখা গেল,আকাশছোঁয়া দামের জন্য বিক্রেতাদের লাভ কমে গেছে,আর ক্রেতারা বলছেন,নাভিশ্বাস উঠছে। আমজনতা বলছে,নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করুক কেন্দ্র,না হলে খাবো কী ?
দেশের নানা অংশের মতোই মূল্যবৃদ্ধির জ্বালা সহ্য করতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে।রাজ্য সরকার টাস্ক ফোর্সের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সুফল বাংলার স্টলের মাধ্যমে বিকল্প পথে সস্তায় সব্জি বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। তবুও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া বা ফলন কমে যাওয়ার ঘাত-প্রতিঘাতে মূল্যের এই উর্ধ্বগতি বলে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।কেন কেন্দ্র দেশের মানুষের আচ্ছেদিন আনার জন্য দাম নিয়ন্ত্রণ করছে না সেই প্রশ্ন বড় করে উঠতে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে।কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের বক্তব্য, জোগানের সামান্য অভাব,তাই দাম বাড়ছে। কর্ণাটকের কোলার আর অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের টম্যাটো বাজারে এলে মূল্য হ্রাস পাবে বলে আশ্বাসবাণী শোনাচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে,নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামছাড়া বাড়লেও কেন দাম বেঁধে দেওয়ার কাজে এগিয়ে আসছে না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই অবস্থায় কলকাতার বাজারেও আগুন দর। একনজরে দেখে নেব,শহরের মূ্ল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি কোন জায়গায় রয়েছে ? ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে সব্জির বাজারদর দেখা গেল।
সব্জি কেজি প্রতি দাম
আলু ৩৫ টাকা
বেগুন ২০০টাকা
পেঁয়াজ ৫০টাকা
করলা ১২০টাকা
পটল ৫০টাকা
ঢ্যাঁড়স ৮০টাকা
লাউ ৬০টাকা
বিনস ১০০থেকে ২৫০টাকা
এই বাজারদর দেখে ক্রেতারা বলছেন,তাঁদের পকেটের খরচ বেড়ে গেছে।চড়া দরের জন্য সব্জি কেনার পরিমাণও কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। বিক্রেতারা বলছেন,দাম বেড়ে যাওয়ায় আমআদমি খরচ কমাচ্ছে।যারজন্য তাঁদের লাভের অঙ্ক কমেছে।মুনাফার বহর কমায় বাজারে টাকার লেনদেন কম হচ্ছে। কবে বাজারে সব জিনিসের দাম কমে,এখন সেদিকেই তাকিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।