১) পাখি ভালোবাসে না এমন মানুষ বিরল। পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনেই মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এই বিশ্বে এমন কিছু পাখি রয়েছে যা সত্যি বিষাক্ত। এসব পাখি এতই টক্সিক বা বিষাক্ত যে খেলে বা সংস্পর্শে আসলেই অবধারিত মৃত্যু। যেমন, হুডেড পিটোহুই। সুরেলা এই প্রজাতির পাখির মাথা, ল্যাজ ও ডানায় কালো রঙ থাকে। পেটের ও পেছনের অংশে থাকে কমলা রঙের পালক। পাখির বুক, পা আর পেটের পালকে homoBTX নামের বিষ থাকে। এই পাখির সংস্পর্শে আসলেই কথা বন্ধ হয়ে যায়, চোখ জলে ভরে যায়, জ্বালা জ্বালা করে আর হাঁচি হয় অনবরত।
২) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় এসব বিষাক্ত পাখি জন্ম থেকে বিষাক্ত নয়। বিষাক্ত গাছের পাতা, ফল, ফুল ও পোকামাকড় খেয়ে বিষ জমা হয় শরীরে। যেমন, ইউরোপিয়ান কোয়েল। ইউরোপ, আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়ায় দেখা যায় এই পরিযায়ী পাখি। এই কোয়েলের মাংস খেলে মৃত্যু হতে পারে। বিষাক্ত বীজ খায় বলে পাখির শরীরে জমা হয় coniine নামের বিষ।
৩) সুরেলা পাখি লিটল শ্রাইকথ্রাশ। অস্ট্রেলিয়ার বিরল প্রজাতির পাখি। পোকামাকড় খেয়ে শরীরে জমা হয় sequester বিষ। batrachotoxinin-A নামে আরেক রকমের বিষ থাকে। বিষাক্ত ডার্ট ব্যাঙের শরীরেও এই বিষ থাকে। পালক ও ত্বকে বিষ থাকে। পাখির সংস্পর্শে আসলে বিষ মানুষের শরীরে ঢুকে যেতে পারে।
৪) ছোট্ট পাখি ব্লু-ক্যাপড ইফ্রিতা পোকামাকড় খেয়ে থাকে। এই পাখির শরীরে batrachotoxinin-BTX বিষ থাকে। পাখির পেট, পালক, বুক স্পর্শ করলে বিষ ঢুকতে পারে মানব শরীরে। নিউ গিনিতে পাওয়া যায় এই পাখি।
৫) অন্যতম বিষাক্ত পাখি হল রেড ওয়ার্বলার। নিউরোটক্সিক অ্যালকালয়েড থাকে। মেক্সিকোর জঙ্গলে দেখা যায়।
৬) স্পার উইঙ্গড গুজ। এক প্রজাতির হাঁস। এক ধরনের পোকামাকড় খেয়ে বিষ জমা হয় শরীরে। cantharidin নামক বিষ থাকে। হাঁসের পালকে বিষ থাকে। পাখির মাংস খেলে মৃত্যু হয়।
৭) রাফড গুজ হল এক ধরনের হাঁস। ১৮-১৯ শতকের বহু সাহিত্যে এই হাঁসের মাংস খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। কানাডার জঙ্গলে দেখা যায়।