১) বৈচিত্র্যর মধ্যে ঐক্যই ভারতের সারকথা। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গরিমায় গর্বিত ভারত। বাঙালিদের নববর্ষকে যেমন পয়লা বৈশাখ বলে ডাকা হয় তেমনই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের নববর্ষ নানান নামে পরিচিত। যেমন, পঞ্জাবীদের নববর্ষকে বলা হয় বৈশাখী। শুধু পঞ্চ নদের দেশ পঞ্জাবই নয় গোটা উত্তর ভারতে ফসল তোলার বিরাট উৎসব এই বৈশাখী। বৈশাখ মাসের প্রথম দিন সাড়ম্বরে পালিত হয় বৈশাখী।
২) মৈথিলী নববর্ষকে জুড় শীতল নামে ডাকা হয়। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও নেপালে সাড়ম্বরে পালিত হয় মৈথিলী নববর্ষ। ১৪ এপ্রিল পালিত হয় মৈথিলী নববর্ষ জুড়ে শীতল।
৩) অহমিয়াদের নববর্ষকে বলা হয় রঙ্গালি বিহু বা বোহাগ বিহু। ৩ দিন ধরে পালিত হয় বিহু উৎসব। বিহু উৎসবের প্রধান অংশ হল বিহু নাচ।
৪) চৈত্র মাসের পয়লা তারিখে মরাঠি নববর্ষ গুড়ি পাড়োয়া উদযাপন করেন মরাঠিরা। গুড়ি মানে সুন্দর এক টুকরো সিল্কের শাড়ি বা কাপড় যা লাঠির ওপর রাখা হয়। মাথায় রাখা হয় লোটা বা মাটি বা তামার ঘটি। মিষ্টি ও নীম, আম পাতার মালা দিয়ে সাজানো হয়। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের বিজয় উৎসব হিসাবে দেখা হয় গুড়ি পাড়োয়াকে।
৫) কন্নড়, তেলুগু মানুষের নববর্ষকে বলা হয় উগাড়ি। চৈত্র মাসের পয়লা তারিখে উগাড়ি উৎসব পালিত হয়। মিষ্টি, পাচাড়ি বা আমের মিষ্টি চাটনি ও নিমপাতা খাওয়া হয়। নতুন জামাকাপড় পরা হয়।
৭) মালয়লি নববর্ষকে বিশু নামে ডাকা হয়। সবজি, ফলমূল, শস্যের মতো ফসল সুন্দর করে সাজানো হয়। একটা আয়নার সামনে সব রাখা হয়। ফুল দিয়ে সাজানো হয়। নতুন জামাকাপড় পরা হয়। ঐতিহ্যবাহী খাবার খান মালয়লিরা।
৮) এপ্রিলের মাঝামাঝি হয় তামিল নববর্ষ পুতন্ডু। তামিল নববর্ষের প্রথম মাস চিতিরাইয়ের প্রথম দিন সাড়ম্বরে পালিত হয় পুতন্ডু