ad
ad

Breaking News

SWEETS

মিষ্টিমুখ হয়ে যাক….

মিষ্টির এত বৈচিত্র্য তা বাঙালি ছাড়া আর কারোর এই পৃথিবীতে আয়ত্তে নেই। বাংলার আনাচে কানাচে নানান ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির জন্য বিখ্যাত।

০১
Let's be sweet

মিষ্টির এত বৈচিত্র্য তা বাঙালি ছাড়া আর কারোর এই পৃথিবীতে আয়ত্তে নেই। বাংলার আনাচে কানাচে নানান ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। যেমন, মালদহের রসকদম্ব। জনশ্রুতি, শ্রী চৈতন্যদেব মালদহে আসলে কদম্বগাছের নীচে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। সেই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে মিষ্টির নাম রাখা হয় রসকদম্ব। দেখতে অনেকটা কদমফুলের মতো। রসগোল্লার মতো পাক, এলাচ গুঁড়ো দেওয়া হয়। ওপরে দেওয়া হয় পোস্ত।

০২
Let's be sweet

সিউড়ির মোরব্বার নামডাক সারা বিশ্বে। কাঁচা ফল ও গাঢ় চিনির রস এই মিষ্টির প্রধান বৈশিষ্ট্য।

ad
০৩
Let's be sweet

বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের মেচা সন্দেশ। মল্ল রাজাদের প্রিয় ছিল এই মিষ্টি। ছোলার ডালের বেসন দিয়ে তৈরি। বেসন মাখা হয় ছানার জল ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে। ঘিয়ে ভাজা মিষ্টির ওপর ছড়ানো হয় হালকা পাকের চিনির রস। স্বাদ বাড়াতে দেওয়া হয় ক্ষীরও।

০৪
Let's be sweet

পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাইয়ের বাবরশা। ময়দা দিয়ে তৈরি। ময়দার পাতলা গোলা ফোঁটা ফোঁটা করে ফুটন্ত ঘি বা তেলের মধ্যে ডোবানো ছাঁচে ফেলতে হয়। পাতে দেওয়ার আগে ওপরে চিনির রস দেওয়া হয় বা চিনির রসে ডোবানো হয়। মনে করা হয়, ১৭৪০-৫০ সালে বর্গীরা একাধিক বার ক্ষীরপাই আক্রমণ করে। এডওয়ার্ড বাবর নামে এক সাহেব বাঁচান। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে তাঁর নামে এই মিষ্টি তৈরি করে উপহার দেন এক মিষ্টি ব্যবসায়ী।

০৫
Let's be sweet

হুগলির কামারপুকুর, জয়রামবাটী ও লাগোয়া অঞ্চলে মেলে সাদা বোঁদে। বরবটির বীজ দিয়ে তৈরি। কোনো রঙ মেশানো হয় না। ভেতরে রস থাকে তবে বাইরে হয় শুকনো ঝুরো।

০৬
Let's be sweet

হুগলির জনাইয়ে মেলে মনোহরা। জমিদারের ইচ্ছে ছিল বাইরে গেলে নরম পাকের সন্দেশ খাবেন। কিন্তু ২-৩ দিন রেখে দিলে মিষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। কড়া পাকের সন্দেশ ছাড়া উপায় নেই। অনেক ভেবে কারিগর নরম পাক সন্দেশের ওপর চিনির রস ঢেলে দেন।

০৭
Let's be sweet

দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ক্ষীরদইয়ের বৈশিষ্ট্য ঘন হওয়ার কারণে।

০৮
Let's be sweet

পূর্ব বর্ধমানের মানকরের পরিচিতি কদমার জন্য। অন্য জায়গায় চিনির তৈরি এই মিষ্টি শক্ত হলেও। মানকরের কদমার অত্যন্ত নরম।

০৯
Let's be sweet

মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ছানাবড়ার আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। মুর্শিদাবাদের নবাবরা অতিথি আপ্যায়ন করতেন ছানাবড়া দিয়ে।