১) এসব পথে যেতে গেলে একটু এদিক ওদিক হয়েছে তো সোজা পৌঁছে যাবেন একেবারে যমের দক্ষিণ দুয়ারে। যেমন, জম্মু-কাশ্মীরের কিশতোয়ার জেলায় রয়েছে বিপজ্জনক কিশতোয়ার কৈলাশ রোড। ১০০ মাইল দীর্ঘ পথ অত্যন্ত সরু। একপাশে খাড়া পাহাড়, অপরপাশে রয়েছে অতলান্ত গভীর খাদ। রাস্তার পাশে নেই কোনো রেলিং।
২) খারদুংলা পাসকে বলা হয় চিন ও ভারতের মধ্যে সংযোগকারী সিলক রুট। বিপজ্জনক এই পথ পেরিয়ে যেতে হয় নুব্রা ভ্যালি। প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত রাস্তা প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বন্ধ থাকে। সে সময় রাস্তা বরফ পড়ে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে।
৩) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,৩৬০ মিটার উঁচুতে রয়েছে চাং লা পাস। সারা বছর বরফে ঢাকা থাকে। অক্সিজেন লেভেল কম থাকে বলে নিশ্বাসের কষ্ট হয়। এই রাস্তা ধরে পৌঁছাতে হয় চাংথাং মালভূমি অঞ্চলে। এটি বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম গাড়ি চলাচলকারী রাস্তা।
৫) লেহ-মানালি জাতীয় সড়ককে বলা হয় বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক পথ। খাড়া, সরু, বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে এই রাস্তায়।
৭) একটু এদিক ওদিক হয়েছে কি গাড়ি একেবারে সোজা ৩৫৩৮ ফুট গভীর খাদে। দেশের অন্যতম বিপজ্জনক রাস্তা বলে পরিচিত জোজি লা পাস। শ্রীনগর থেকে লেহ যাওয়ার পথে পড়ে এই রাস্তা। লাদাখ আর কাশ্মীরের মধ্যে সংযোগকারী রাস্তা হল জোজি লা পাস।
৮) ৩৯৭৯ মিটার উঁচুতে রয়েছে রোহটাং পাস। হিমাচল প্রদেশের কুল্লু থেকে লাহুল-স্পিতি উপত্যকায় যাওয়ার পথে পড়ে রোহটাং পাস।
৯) চিন সীমান্তের কাছে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক থেকে ৫৪ কিমি দূরে রয়েছে নাথু লা পাস। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩১০ মিটার উঁচুতে নাথু লা পাস বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ গাড়ি চলাচলকারী রাস্তা। শীতে ধস ও তুষারপাতের কারণে রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
১০) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০০ মিটার উচ্চতায় কেরালার মুন্নার রোড ভীষণ খাড়াই আর জিগজ্যাগ বাঁক রয়েছে। রাস্তার একেক জায়গা অন্ধকার। রাতে কুয়াশা এমন ঘিরে ধরে যে কাছের জিনিসও ভালো করে দেখা যায় না।