Bangla Jago Desk , Mou Basu : ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ বিরল। বাড়ি হোক কিংবা ফ্ল্যাট, একফালি বারান্দা, এক টুকরো বাগানের আশিয়ানার স্বপ্ন দেখে সকলেই। দু’,কামরার ফ্ল্যাটে বিশাল বাগানের শখ পূরণ করা অনেকেরই সফল হয় না। শখ করে বারান্দায় টবেই এক ফালি সবুজের সমাহার করেন। সে করতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় অনেক যত্ন করেও বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না সাধের ফুলগাছ। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? ভেবে দেখেছেন? গোড়াতেই গলদ নেই তো? বেশি বেশি জল দিচ্ছেন না তো? তাতেই ফুলগাছের গোড়া পচে গিয়ে গাছ মরে যাচ্ছে না তো?
ফুল গাছে বেশি জল দিলে কী হয়?
বেশি জল দিলে গাছ পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। জল গোড়ার মাটিতে জমে থাকলে শেকড় অক্সিজেন না পেয়ে হাঁসফাঁস দশা হয়। গাছ পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। গাছের বৃদ্ধি আটকে যায়। গাছের পাতা হলুদ হতে শুরু করে।
গোড়ায় জল জমে থাকলে শেকড়ে ফাঙ্গাস জমতে শুরু করে। ধীরে ধীরে গাছ মরে যায়।
ফুল গাছে বেশি জল দেওয়া আটকাতে কী করবেন?
প্রতিটি ফুল গাছের নির্দিষ্ট পরিমাণে জলের প্রয়োজন আছে। বাগানে কোন ফুল গাছে কতটা পরিমাণ জল কোন সময় ও কত দিন অন্তর দেবেন তা ভালো করে জানা প্রয়োজন।
জল দেওয়ার আগে মাটি ভিজে আছে কিনা তা হাত দিয়ে দেখে নিন। একটু ভেতরে আঙুল দিয়ে খুঁড়ে দেখে নেবেন। অনেক সময় ওপর থেকে শুকনো থাকলেও ভেতরে মাটি আর্দ্রই থাকে। ভেতরের মাটি শুকনো থাকলেই জল দিন। ভেতরের মাটি আর্দ্র থাকলে জল জমে থাকবে গোড়ায়।
টবের মাটিতে অল্প পরিমাণে বালি মিশিয়ে তারপর গাছ লাগাবেন। বালি মেশানো মাটি জল ধরে রাখে না। অতিরিক্ত জল বের করে দেয়। টবে যাতে জল জমে থাকে তা দেখবেন।
সকালে গরম কম থাকে। সে সময় গাছে জল দেবেন। অতিরিক্ত জল বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
গাছের গোড়ায় জল দেবেন। পাতায় জল দেবেন না। ভেজা পাতায় বাসা বাঁধতে পারে ফাঙ্গাস।
ফুল গাছের সঙ্গে ছোট্ট পাটকাঠি বা কাঠের টুকরো পুঁতে দিন। এই পদ্ধতি মাটির সঠিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
গাছের দিকে নজর দিন। গাছ নেতিয়ে পড়ছে, পাতা হলুদ হয়ে যাচ্ছে দেখলে বুঝবেন অতিরিক্ত জল দিচ্ছেন।
মাটিকে শুকনো হতে দিন। তারপর জল দিন। নিজের নিয়ম অনুযায়ী নয় গাছের প্রয়োজন অনুযায়ী জল দিন। গাছের হলুদ হওয়া অংশ ও পাতা কেটে দেবেন।
শেকড় পচে যাওয়া গাছ টবে রাখবেন না। ভালো করে মাটি পরিষ্কার করে নতুন গাছ লাগান