ad
ad

Breaking News

Poila Boishakh

বাংলা নববর্ষের মাহাত্ম্যই আলাদা , বাংলার নতুন বছরে নতুনকে আবাহনে মেতে বাঙালি

জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশেষ এই দিনটির মাহাত্ম্যই আলাদা বাঙালির কাছে।

Bengalis welcome the new year in the Poila Boishakh

Bangla Jago Desk : যা কিছু পুরনো, যা কিছু গ্লানি তা বছর শেষের ভেলায় বিসর্জন দিয়ে নতুনকে আবাহন করার দিন এক হয়ে ওঠে বাঙালি। বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণের অন্যতম নববর্ষ পালিত হল ধুমধাম করে। বছরের এই প্রথম এই দিনটা বিশেষ ভাবে উদযাপন করেন আম বাঙালি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশেষ এই দিনটির মাহাত্ম্যই আলাদা বাঙালির কাছে।

কথায় বলে, ‘বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ’। আর সেই তেরো পার্বণের অন্যতম হল নববর্ষ। বছরের এই প্রথম এই দিনটা বিশেষ ভাবে উদযাপন করেন আম বাঙালি। যে অঞ্চলগুলি সৌর বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, বৈশাখ মাসকে বছরের প্রথম মাস হিসাবে বিবেচনা করে, তাদের নতুন বছরটি এই মাসের প্রথম দিনেই উদযাপিত হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, বাংলা নববর্ষ সাধারণত ১৪ বা ১৫ এপ্রিল পড়ে। বাংলা সৌর ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস বৈশাখের প্রথম দিনটিকে নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ নামে ডাকা হয়। পয়লা বৈশাখ উদযাপনের ঐতিহ্য মুঘল যুগের। তখন ফসল কাটার উৎসব হিসেবে পালিত হতো। এই সময়ে সব সম্প্রদায়ের জন্য সমস্ত ঋণ পরিশোধ করার সময় ছিল। ১৮ শতকের শেষের দিকে এবং ১৯ শতকের প্রথম দিকে বাংলা নববর্ষ উদযাপন বিশেষ বৃদ্ধি পায়। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে উৎসবটি যেমন অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে পালিত হয়, তেমনই বাংলাদেশেও সাড়ম্বরে পালিত হয় বাংলা নববর্ষ। বিশ্বব্যাপী বাঙালিরা নববর্ষের দিন একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। কোলাকুলি করেন।

এই দিনটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে ও আলাদা রীতিতে উদযাপিত হয়। উত্তর ও মধ্য ভারতে নতুন বছরকে বলা হয় বৈশাখী, অসমে রঙ্গালি বিহু, তামিলনাড়ুতে তামিল পুঠান্ডু, কেরালায় বিশু, ওড়িশায় বিশুব সংক্রান্তি এবং পশ্চিমবাংলায় নতুন বছর অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ পরিচিত নববর্ষ উৎসব নামে। এদিন লক্ষ্মী-গণেশ পুজো ও হালখাতার মাধ্যমে বাঙালি ব্যবসায়ীরা নতুন আর্থিক বছরের সূচনা করেন। দিনভর খাওয়া দাওয়া, আড্ডা, মিষ্টিমুখ, নতুন জামাকাপড় পরা— এই সবের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নেন বাঙালিরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দিনটি বিশেসগ গুরুত্ব দিয়ে পালিত হলেও আলাদা করে নজর কাড়ে বাঙালির নববর্ষ।

বাংলায় অনেক কিছু ভাগ হয়েছে। তবে ভাগ হয়নি বাংলা নববর্ষ। কখনওই ধর্মের বাঁধনে বাঁধা পড়েনি বাঙালির নববর্ষ। বাঙালি হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ কি খ্রিস্টান— সবাই নিজের মতো করে বছর উরুর প্রথম দিনটি পালন করেন। যা কিছু পুরনো, যা কিছু গ্লানি তা বছরশেষের ভেলায় বিসর্জন দিয়ে নতুনকে আবাহন করার দিন এক হয়ে ওঠে বাঙালি। তিনি, নক্ষত্র মেনে বছরের প্রথমদিন। তবে এই দিনের একটাই মন্ত্র ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।‘