Bangla Jago Desk : শেষদফায় ভোট রয়েছে যাদবপুরের মতোই দমদমেও। ফাইনাল রাউন্ডে পরস্পরকে টেক্কা দিতে প্রচারের ময়দানে রয়েছেন সবদলের প্রার্থীরাই।যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য চুটিয়ে প্রচার সারছেন। রবিবার তিনি নেতাজীর পৈতৃক ভিটে কোদালিয়ায় যান।সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তিতে মালা দিয়ে প্রচার শুরু করেন।দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় ,চলো পাল্টাই ডাক জোরদার করতে প্রচার সারলেন,খোলা গাড়িতে।গণতন্ত্র বাঁচাতে তাঁর গণদেবতার দরবারে পৌঁছে যাওয়া বলে তিনি জানিয়েছেন।
১জুন,রয়েছে ভোট।শেষদফায় কলকাতার দুই কেন্দ্র সহ অন্যান্য কেন্দ্রের মতোই নির্বাচন রয়েছে যাদবপুরেও।২০০৯ থেকে এই যাদবপুরে জয়লাভ করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস।এবারও এই সম্ভ্রান্ত সংসদীয় কেন্দ্রে ঘাসফুল প্রতীকে লড়ছেন সায়নী ঘোষ।সায়নীর সঙ্গে লড়াইতে রয়েছেন সিপিএমের সৃজন ভট্টাচার্য।তিনি চাইছেন,২০০৪এর মতোই এই গ্রাম-শহরের মিশেলে গড়ে ওঠা লোকসভা কেন্দ্রে জয় নিশ্চিত করতে।সুজন চক্রবর্তী সেবার যা পেরেছিলেন ,এবার সৃজন কী তা পারবেন।মুখ বদল করেও কী লালগড় হয়ে উঠতে পারবে এই যাদবপুর ? কতটা কনফিডেন্ট, সিপিএমের তরুণ তুর্কি ? কংগ্রেসের হাত ধরতে গিয়ে কী সিপিএম পুরনো অবস্থান থেকে সরে আসছে ? এইসব নানা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে সৃজনকে ঘিরে। রবিবার কোদালিয়ায় নেতাজীর মূর্তিতে মালা দিয়ে প্রচার শুরু করেন।বাঙালির অগ্নিপুত্রদের দেখানো পথেই দেশ এগিয়ে চলুক,চাইছেন সিপিএমের এই প্রার্থী।
বাংলার সংগ্রামী ঐতিহ্য সামনে রেখে বঙ্গের এই বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে সাড়া ফেলার চেষ্টাও করছেন বাম রাজনীতির নবীন সেনারা।প্রচারে বেরিয়ে তিনি প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রার্থীর বাড়িতে যাচ্ছেন।সবার আর্শীবাদ নিয়ে দিল্লির দরবারে পৌঁছে যেতে মরিয়া তিনি।শেষদফায় নির্বাচন রয়েছে,দমদমে।দমদম লোকসভার মধ্যে রয়েছে খড়দা।সেখানে হুডখোলা গাড়িতে চড়ে প্রচার সারেন সৌগত রায়।মুখে তাঁর ডাক ছিল চল পাল্টাই স্লোগান।বাংলা বিরোধী বিজেপিকে হারানোর জন্য কড়জোড়ে সমর্থন চাইছেন অধ্যাপক সৌগত রায়।শিক্ষার জগত থেকে আসা পোড়খাওয়া এই রাজনীতিক আবার সংসদে গিয়ে বাংলার দাবি আদায় করতে চান বলে জানাচ্ছেন।
বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আবার পরিবর্তনের পক্ষে হাওয়া তুলতে তৈরি হয়েছেন।তিনিও সৌগত রায়ের সঙ্গে হুডখোলা গাড়িতে প্রচারে ঝড় তোলেন।তৃণমূলের মতো,সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোটভাগ করার বদলে,পরিবর্তনের সরকার গড়ার ডাকে সবাইকে সামিল করার আহ্বান জানিয়েছেন সৌগত রায় থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সকলেই।