The Truth of Bengal, মৌ বসু : বাঙালির বিজ্ঞান অন্বেষণের মুকুটে যোগ হল নয়া পালক। স্থলে, জলে, অন্তরীক্ষে এমনকি রক্তনালিতেও দেখা মেলে মাইক্রোপ্লাস্টিক। রাষ্ট্রসংঘের ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) জানিয়েছে ৫ মিলিমিটারের ছোট এই মাইক্রোপ্লাস্টিকই প্লাসিক দূষণের মূলে। সমুদ্রের জলে হোক কিংবা মাটিতে এমনকি যে বাতাসে আমরা নিশ্বাস নিই তাতেও মিশে আছে প্লাস্টিকের বিষ। আমাদের শরীরেও ঢুকছে এই বিষ। প্লাস্টিক দূষণ রোধে যুগান্তকারী আবিষ্কার করলেন বাঙালি বিজ্ঞানী সূর্যসারথি বসু। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বা আইআইএসসির এই বিজ্ঞানী এমন এক মেটিরিয়াল আবিষ্কার করেছেন যা মাইক্রোপ্লাস্টিক আটকাতে সক্ষম।
জলের মাধ্যমেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের বিষ আমাদের শরীরে ঢোকে। বিজ্ঞানী সূর্যসারথি বসুর নেতৃত্বাধীন গবেষক দল এমন এক পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেল বা ইন্টারউইন্ড পলিমার নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে যা জলে থাকা মাইক্রোপ্লাস্টিক আটকাতে পারে ও তা পরে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দ্বারা ধ্বংস করে দিতে পারে। গবেষক দল থ্রি ডি হাইড্রোজেল তৈরি করেছে। বিজ্ঞানী সূর্যসারথি বসু আইআইএসসির মেটিরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক।
গবেষক দল চিটোসান, পলিভিনাইল অ্যালকোহল ও পলিঅ্যানালিনের মতো ৩টি আলাদা আলাদা পলিমার স্তর ব্যবহার করে হাইড্রোজেল তৈরি করেছে। এরসঙ্গে কপারের বিকল্প পলিঅক্সোমেটালেট দিয়ে তৈরি ন্যানোক্লাস্টার ব্যবহার করা হয়েছে যা ক্যাটালিস্ট হিসাবে মাইক্রোপ্লাস্টিক ধ্বংস করতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করবে। এখন গবেষক দল এমন একটা যন্ত্র আবিষ্কার করতে চাইছেন বৃহৎ আকারে জল থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক আটকাতে সক্ষম। ঘটনাচক্রে চিনের একদল গবেষক রক্তনালিতে ৮০% মাইক্রোপ্লাস্টিকের খোঁজ পেয়েছেন যা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এমনকি ডিপ ভেন থ্রম্বোসিসের কারণ।