Bangla Jago Desk : ভোট আসে, ভোট যায়। এমন অনেক মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য বুথের দরজায় পৌঁছাতে পারেন না। বাধা হয়ে ওঠে তার পেশা। পেশার টানে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে সমর্থ হন না। এই যেমন অ্যাম্বুলেন্স চালক। এমন অনেকেই আছেন যারা সকাল থেকে ভেবে রেখেছেন ভোট দিতে যাবেন, হঠাৎ করে ডাক পড়ে গেল কোন এক মুমূর্ষ রোগীকে হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে। ভোট দেওয়ার ভাবনা শিকেই তুলে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ছুটলেন মুমূর্ষ রোগীকে বাঁচানোর জন্য হসপিটালের পথে। এই যেমন সংবাদ মাধ্যমের কর্মী। ভোটের দিন অন্যদিনের থেকে বেশি কাজের চাপ। আর তাই ভোটের খবর অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে নিজের ভোটটাই দেওয়া হয়ে ওঠে না।
যেমন দুধ সরবরাহকারী। শিশুদের মুখে তুলে দিতে হবে দুধ। ভোটের কথা ভুলে নিজের কাজেই ব্যস্ত থাকেন। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে পুলিশ কর্মী এরকম বহু আপদকালীন বিভাগের কর্মীরাও সরাসরি বুথে যেতে পারেন না ভোট দিতে। এইসব পেশার মানুষের জন্য ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগী হল নির্বাচন কমিশন। যাঁরা বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার। এই নিয়ে মুখ্য চনির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে হয়ে গিয়েছে বৈঠক। বৈঠকে একাধিক আপৎকালীন পেশার সঙ্গে জড়িত মানুষদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে তাদের সকলের ভোট এবার নিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে পোস্টাল ব্যালাটে ভোট দেয়ার অধিকার দিয়ে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন পেশার মানুষেরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন:
রেল ও মেট্রো রেলের সঙ্গে যুক্ত, রেল ট্রান্সপোর্টৈর সঙ্গে জড়িত, দুধ সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যুক্ত, রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন, দমকল, ট্রাফিক পুলিশ, জেল, এক্সাসাইজ, ট্রেজারি সার্ভিস, ইনফরমেশন এন্ড পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্ট, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স এন্ড হোমগার্ডস, ফুড সিভিল সাপ্লাইজ, বিদ্যুৎ দফতর, পিডব্লিউডি, সংবাদ মাধ্যম।