ad
ad

Breaking News

ফার্স্ট ফ্লাশ রেস্তোরাঁ

গোলপার্কের মোড়ে এক টুকরো দার্জিলিং,ফার্স্ট ফ্লাশ রেস্তোরাঁ

Bangla Jago Desk : যে-কোনও শহরে এমন কিছু কাফে থাকে, যাদের অবস্থান খুব দৃশ্যমান নয়। বরং বড় রাস্তার থেকে একটু যে কোনও আড়ালে বলে অন্তঃপুরবাসিনী বলা যায়। কিন্তু এই আড়ালে থেকেও নিজের স্বকীয়তায় সে নিজের পরিচিতি তৈরি করে। শহরের নাগরিক কাফের সেই স্বকীয়তার পরিচিতি পায়, তার মেজাজের সঙ্গে সহবাসে অভ্যস্ত হয়। এবং আস্তে আস্তে সেই […]

Bangla Jago Desk : যে-কোনও শহরে এমন কিছু কাফে থাকে, যাদের অবস্থান খুব দৃশ্যমান নয়। বরং বড় রাস্তার থেকে একটু যে কোনও আড়ালে বলে অন্তঃপুরবাসিনী বলা যায়। কিন্তু এই আড়ালে থেকেও নিজের স্বকীয়তায় সে নিজের পরিচিতি তৈরি করে। শহরের নাগরিক কাফের সেই স্বকীয়তার পরিচিতি পায়, তার মেজাজের সঙ্গে সহবাসে অভ্যস্ত হয়। এবং আস্তে আস্তে সেই কাফে শহরের নাগরিকদের রুচির, পছন্দের অংশ হয়ে যায়। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে এইরকম কাফে দেখেছি, মস্কোর পুশকিন স্কোয়ারে এহেন কাফেতে চমৎকার চা পেয়েছি মেলবোর্নের সেন্ট্রাল (central) বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট এ রকমারি গ্রাফিতি বা দেওয়াল লিখন পেরিয়ে এইরকম কাফেতে সেঁধিয়ে গেলে মন ভাল করে
দেওয়া স্যান্ডউইচ পাওয়া যাবেই। গোলপার্কের থেকে ৩০ সেকেন্ডেরও কম দূরত্বে, কিন্তু গলির ভিতরে বলে কোলাহল থেকে দূরে একটা অদ্ভুত ।

নির্জনতা দিয়ে অভ্যর্থনা করা ফার্স্ট ফ্লাশ সেইরকমই একটা কাফে। আসলে শুধু কাফে নয়, বুক কাফে। যাঁরা কখনও দিল্লিতে তাজ গোষ্ঠীর ইয়েলো ব্রিক রোডে ব্রেকফাস্ট সেরেছেন, তাঁরা হয়তো এই ফার্স্ট ক্লাশে ঢুকলে সেই মেজাজটা পাবেন। আসবাবপত্রগুলো একটু পুরোনো চেহারার, পাশেই বুককেসে কবিতার বই। নাকে পুরোনো বইয়ের সঙ্গে শহরটার কৌলীন্য আর সংস্কৃতির গুঁড়ো এসে ঢুকে পড়ে। আর শুধু নামে তো ফার্স্ট ফ্লাশ নয়, গোটা কাফের শরীরে দার্জিলিংকে জিইয়ে রাখা। চা তো আছেই, দেওয়ালে বাঁধিয়ে রাখা ছবির ফ্রেমে পাহাড়, অষ্টপ্রহর চলতে থাকা ভিডিওতে দার্জিলিং। আপনার মাথার মধ্যে কখন যেন অঞ্জন দত্তের গানটা গুনগুন করতে শুরু করবে, খাদের ধারে রেলিংটা…

এইসব ভাল লাগা যদি আপনার শরীরের অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থির ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় তবে জেনে রাখা ভাল গোলপার্কের মোড়ের এই কাফে খোলা থাকে সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। একবার কাফেতে ঢুকে যেতে পারলে যতক্ষণ খুশি আড্ডা মারুন, ল্যাপটপ খুলে কাজ সারুন, কোনও অসুবিধে নেই। মন ভাল করে দেওয়া চায়ের সঙ্গে টা আছে, ইচ্ছে করলে পছন্দের মকটেলে চুমুক দিতে পারেন। আমার নিজের অবশ্য ভাল লাগে এই কাফের কন্টিনেন্টাল আয়োজন, রকমারি স্যান্ডউইচ আর ধোঁয়া ওঠা স্যুপ। একটু নিভৃতে, কিন্তু মন ভাল করে দেওয়া।
খাওয়াদাওয়ার সুযোগ। রবিবার হলে তো কথাই নেই!





যাঁরা এই ধরনের কাফে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য ফার্স্ট ফ্লাশের সুলুকসন্ধানটাও জেনে রাখাটা জরুরি। গড়িয়াহাট থেকে হেঁটে গোলপার্ক যাওয়ার পথে, মেঘমল্লার পেরিয়ে রেমন্ডসের শো রুমের পাশের গলিতে এই কাফে। একেবারে গোলপার্কের হৃৎপিণ্ডে, কিন্তু একটু আড়ালে থাকা তিলের মতো আকর্ষণীয়।

Free Access