ad
ad

Breaking News

Bleaching

রোজই প্রায় ত্বকে ব্লিচিং করছেন, জানেন কী ক্ষতি হবে

অতিরিক্ত সৌন্দর্য সচেতন হয়ে অনেকেই প্রায় রোজই ত্বকে ব্লিচিং করেন। ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে অনেকেই ব্লিচিং করেন। এতে কিন্তু উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়

Bleaching the skin almost every day, knowing the damage it will do

Bangla Jago Desk , Mou Basu : অতিরিক্ত সৌন্দর্য সচেতন হয়ে অনেকেই প্রায় রোজই ত্বকে ব্লিচিং করেন। ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে অনেকেই ব্লিচিং করেন। এতে কিন্তু উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়। ব্লিচিং করলে তাৎক্ষণিক ভাবে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়লেও দীর্ঘ মেয়াদে ত্বকের অ্যালার্জি, চুলকানির মতো সমস্যা হয়। ত্বকের সংক্রমণ বেড়ে যায়। ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় একেক রকম ত্বকের টোন বা রঙ হয়ে যায়।

আসুন দেখে নিই ঘন ঘন ব্লিচিং করলে কী কী সমস্যা হয়—

১) ব্লিচিং করার সময় হাইড্রোকুইনোন, পারদের মতো ক্ষতিকর টক্সিন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় যাতে ত্বক লালচে হয়ে যায়। চুলকোয় ও ফুলে যায়, কারণ এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচের মাত্রা নষ্ট করে দেয়।





২) হালকা চুলকানি থেকে ডার্মাটাইটিসের মতো ত্বকের সংক্রমণ হয় বেশি পরিমাণে ব্লিচিং করলে।

৩) রোজ ব্লিচিং করলে ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির প্রতি বেশি পরিমাণে স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। ব্লিচিংয়ে ব্যবহৃত রাসায়নিকের প্রভাবে ত্বক বেশি পুড়ে যায় রোদে। ত্বক অকালে বুড়িয়ে যায়, ত্বকে অকালে বলিরেখা দেখা যায়। ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

৪) মেলানিনের কারণে ত্বকের স্বাভাবিক রঙ হয়। মেলানিন ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু ব্লিচিংয়ে ব্যবহৃত রাসায়নিক ত্বকের মেলানিন নিঃসরণে বিঘ্ন ঘটায়। ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা যায়।

৫) দীর্ঘদিন ধরে ব্লিচিং করলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাবের ত্বকের স্তর পাতলা হয়ে যায়। পরিবেশ দূষণের ফলে ত্বক অকালে বুড়িয়ে যায়।

৬) ব্লিচিংয়ে ব্যবহৃত রাসায়নিকের প্রভাবে ত্বকের স্বাভাবিক পিএইচ মাত্রা নষ্ট হয়ে যায়। ত্বকের স্বাভাবিক রক্ষাকবচ নষ্ট হয়ে যায়। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ হয়। ব্রণ, এগজিমা, ফাঙ্গাল সংক্রমণ হয়।

৭) ব্লিচিংয়ের জন্য ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব নষ্ট হয়ে যায়। ত্বক মলিন, শুষ্ক হয়ে যায়। কালচে ভাব দেখা যায়।

৮) ব্লিচিংয়ের জন্য ত্বকের স্তর পাতলা হয়ে গেলে ক্ষতিকর টক্সিন রাসায়নিক রক্তের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে। ক্যানসার, শ্বাসযন্ত্রের অসুখ, হরমোনের গন্ডগোল হতে পারে।